ভিজা কাপড় মেলতে যেয়ে বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে মৃত্যুর পথযাত্রী মাকে বাঁচাতে সহ মরণ হয়েছে ছেলের। এ সময় আহত হয়েছে আরো দু’ সহোদরের। সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বরয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার বরয়া গ্রামের সামছুর রহমান সরদারের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৬২) ও তার ছেলে রোকন সরদার (৩৭)। আহত দু’ সহোদর হলেন নিহত রোকন সরদারের ছেলে কামাল সরদার ও আফছার সরদার।
এ ছাড়া সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজের গাছের আম পাড়তে যেয়ে কলারোয়া উপজেলার ভাদিয়ালি গ্রামের আবু তালেবের ছেলে জাহিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত রোকন সরদারের ছেলে বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র নয়ন সরদার জানান, জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে ফল খাওয়ানোর জন্য তার তিন ফুফু আজমিরা, রাশিদা ও জান্নাতুল, তিন ফুফা ও তাদের সান্তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে তাদের খাওয়ানো শেষে দাদী মরিয়ম বেগম গোসল করে উঠানের পাশে টাঙানো দড়িতে ভিজা কাপড় মেলতে যান। অসাবধানবশতঃ ওই দড়ির পাশে আর্থিং এর তারে ভিজা কাপড় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারের সঙ্গে জড়িয়ে যান দাদী। বিপদ বুঝে তার আব্বা রোকন সরদার দাদিকে বাঁচাতে গেলে তিনিও তারে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় অন্য দু’ চাচা কামাল ও আফছার আব্বা ও দাদীকে বাঁচাতে গেলে তারা মারাত্মক জখম হলেও মারা যান দাদী ও আব্বা।
বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিধান চন্দ্র সরকার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, আকষ্কিক এ ধরণের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আহত কামাল ও আবছারকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা জানান, তিনি ছুটিতে থাকলেও ঘটনা শুনেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মৃতের স্বজনরা জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাহিদুল তার নিজ বাড়ির গাছে আম পাড়তে ওঠেন। এ সময় গাছের ডালে লেগে থাকা বৈদ্যুতিক স্পষ্ট হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবীর সোমবার বিকালে জাহিদুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।