বসত বাড়িতে চেতনা নাশক স্প্রে করে সকলকে অচেতন করে সর্বত্র লুট করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের সাধুপাড়ার কিনু কর্মকারের ছেলে গৌর কর্মকারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অচেতন অবস্থায় গৌর কর্মকার, তার স্ত্রী বন্ধনা কর্মকার ও ছেলে কৌশিক কর্মকারকে বুধবার সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গৌর কর্মকারের ছোট ভাই গোবিন্দ কর্মকার জানান, তার দাদা গৌর কর্মকার, বৌদি বন্দনা কর্মকার সাতক্ষীরার একটি অনুষ্ঠান থেকে মঙ্গলবার রাতে বাড়ীতে ফিরে ছোট ছেলে কৌশিক কর্মকার নিয়ে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোন এক সময় সঙ্গবদ্ধ চরের দল চেতনা নাশক ঔষধ বা স্প্রে দ্বারা তাদের সকলকে অচেতন করে ফেলে। এসময় চোর চক্রের সদস্যরা একটি টাচ মোবাইল ফোন, আনুমানিক নগদ দুই লক্ষাধিক নগদ টাকা ও তার মায়ের জন্য তৈরি করা কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
গোবিন্দ কর্মকার আরও জানান, বুধবার সকালে তার দাদার পরিবারের কারও কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বাড়ির ভিতরে গেলে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন তারা। এ সময় অচেতন অবস্থায় গৌর কর্মকার, স্ত্রী বন্ধনা কর্মকার ও ছোট ছেলে কৌশিক কর্মকারকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে আশাশুনি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম, বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই জাহাঙ্গীর হোসেন, কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ওমর সাকী ফেরদৌস পলাশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাওয়ায়, মাদকসেবী বৃদ্ধি পাওয়ায়, বহিরাগত মানুষের আগমন ঘটায় এবং রাতে পুলিশি টহল জোরদার না থাকায় এ সকল এলাকায় চুরির মত ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।
আশাশুনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান,এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।