রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
তালায় চিংড়ি মাছ প্রতীকের মশিয়ারের নির্বাচনী জনসভা আশাশুনিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাতক্ষীরায় বজ্র*পাতে স্কুলছাত্র নি*হত  গোপালগঞ্জে উগ্রবাদ প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর করণীয় ও প্রতিরোধে আলেমদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাতক্ষীরার মেডিকেল এর সামনে বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট শ্যামনগরে মৎস্য ঘের জবর দখল ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন।  জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হ্রাসে কিশোর কিশোরীদের সচেতনতায় লিডার্স শ্যামনগরে জেন্ডার সংবেদনশীল  দুর্যোগ সাড়াদান প্রশিক্ষণ সম্পন্ন সাতক্ষীরায় বিনা মুল্যে চোখের ছানি অপারেশন, ঔষধ ও চশমা বিতরণ আনারস প্রতীকে ভোট চেয়ে মতবিনিময় ও গণসংযোগ 

আশাশুনি উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার শাহাজাহান আলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

✍️এস এম শহিদুল ইসলাম📝জেষ্ঠ প্রতিবেদক☑️
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. শাহাজাহান আলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন।

আবেদনের বিষয়‍‍‌‌‘ ১০ বছরের অধিক সময় ধরে কর্মরত সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার নারী লোভী, লম্পট, চরিত্রহীন, ধূর্ত, অতি সুমিষ্টভাষী, বেপরোয়া ঘুষখোর, সুদর্শন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.শাহাজাহান আলীর নারী কেলেঙ্কারী, আর্থিক দুর্নীতি, প্রতারণাসহ অসামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রতিকারের জন্য আবেদন।

’প্রধান শিক্ষকদের ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে-আমরা সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উপজেলায় কর্মরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.শাহাজাহান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি যে, শিক্ষা অফিসার মো. শাহাজাহান আলী একজন নারী লোভী, চরম দুর্নীতিবাজ, প্রতারক, অনিয়ম কারী ব্যক্তি।

তার দ্বারা সৃষ্ট অনিয়ম সমূহের কতিপয় নিম্নে তুলে ধরা হলো-নারী লোভী, চরিত্রহীন লম্পট স্বভাবের মানুষ। গাজী সাইফুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার (বর্তমানে তালা উপজেলায় কর্মরত) ও মো.শাহাজাহান আলী, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, আশাশুনি, সাতক্ষীরা যৌথভাবে একই শিক্ষকের সাথে বিছানা শেয়ার করার খবর প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কোন ভয়ে নিশ্চুপ বোঝা যাচ্ছে না। একনারী শিক্ষকের সাথে যৌথ ভাবে বিছানা শেয়ার করার খরব কারো অজানা নয়। তাছাড়া ৩৪নং আগরদাড়ি সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের ওই নারী শিক্ষকের সাথে শাহাজাহান আলী নলতার নিজ বাড়িতে বউ ছেলে-মেয়ে কেউ না থাকার সুবাদে ২৫-১২-২০২২ তারিখ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবৈধ কাজে লিপ্ত ছিলেন। ঘটনা জানা জানি হলে ওই শিক্ষকের স্বামী চাপাচাপি করলে নিজের বাচ্চা থাকা সত্ত্বেও স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন ০৭-০১-২০২৩ তারিখে। ওই শিক্ষকের স্বামী আবদুল হাই সিদ্দিকী মোবাইল ফোনে প্রতিদিনের কথোপকথনের কললিস্ট শাহাজান আলীর স্ত্রীকে দেখালে তিনি চলতি সপ্তাহে ছুটে যান স্বামী শাহাজানের শিক্ষা অফিস আশাশুনিতে। সেখানে শাহাজাহান আলীর মোবাইল কেড়ে নেওয়াসহ নানারকম সিন ক্রিয়েট হয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ দাখিল করা হলে এডিপিইও আবু হেনা মোস্তফা কামালের সহযোগিতায় ডিপিইও হোসনে ইয়াসমিন করিমী ১লক্ষ টাকার বিনিময়ে তদন্তনা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, নির্বাচনকালীন বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা হয় ভোট কেন্দ্র মেরামতের জন্য কিন্তু যে সকল স্কুলের টাকা ভাগাভাগি করতে পারবে সেসব স্কুলের তালিকা দেয় শাহাজাহান আলী। আবদুর রকিব ও শাহাজাহান আলী কাজ না করে ৫টি স্কুলের টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। স্কুল গুলো হলো: কলিমাখালীসপ্রাবি, মহিষকুড়সপ্রাবি, শীতলপুরসপ্রাবি, নাকতাড়াসপ্রাবি ও বালিয়াখালীসপ্রাবি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রতি অর্থ বছরে শাহাজাহান আলী ক্ষুদ্র মেরামত থেকে স্কুল প্রতি নিজের জন্য ১৫হাজার টাকা, শিক্ষা অফিসারের নাম করে ১০হাজার টাকা করে ফিক্সড রেট বেঁধে উত্তোলন করেন। তাছাড়া নাছিমাবাদ সপ্রাবি, কোলাসন্নাবিসহ অন্তত ৪টি বিদ্যালয়ে রং মিস্ত্রি পাঠিয়ে কাজ করিয়ে দিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ ভাগ করে নিয়েছেন। আর এর পলিসি মেকার উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম। করোনা কালীন সকল বরাদ্দের অর্থ ভাগা ভাগি হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, দাওয়াত খাওয়া শিক্ষা অফিসের সকল কর্মকর্তার নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকল অফিসার সদলবলে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দাওয়াত খাওয়া, মহিলা শিক্ষকদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের প্রধানঅতিথি ও বিশেষ অতিথির আসনে আসীন হওয়া যেন বিশেষ আকর্ষণীয় ও পছন্দের বিষয়। দাওয়াত খাইতে চাইলে শিক্ষকগণ লজ্জায় না করতে পারেন না। টাকা কোথা থেকে আসে সেটা তাদের বুঝতে হবে। এছাড়া মতের অমিল হলে শাহাজাহান আলী সে শিক্ষককে বিভিন্ন সময়ে ফোনে হয়রানি করে থাকেন। অথচ তিনি নিজেই সঠিক সময়ে অফিসে আসেন না। ২০২২/২০২৩ সালের অনলাইন বদলিতে যে সকল যোগ্য শিক্ষক ছিল তাদেরকে রিজেক্ট করিয়ে অযোগ্যদের আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে বদলির সুপারিশ করেছেন। অনলাইনে তথ্য দেখলে প্রমাণ পাওয়া যাবে। প্রতিটি বদলি হতে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এ বছরে কমপক্ষে ৫-১০ লক্ষাধিক টাকা লেনদেন করেছেন। আগে আবু সেলিম ও গৌরাঙ্গ গাইন টাকা উঠাতো। তাদের নামে অভিযোগ হওয়ায় শাহাজাহান আলী দায়িত্ব নিয়েছেন। অডিট ফেস করার নাম করে প্রতিবছর বিদ্যালয় প্রতি ৪০০ টাকা করে ৬৫০ হাজার টাকা করে বিগত ১০ বছরে ৬ লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করেছেন শিক্ষা অফিসারের যোগসাজসে। চলতি দায়িত্বের জন্য ১০০০ টাকা করে, ১৩তম গ্রেডের জন্য বকেয়া ও অন্যান্য বেতন ছাড় করার জন্য শিক্ষকপ্রতি ১০০ টাকা করে কয়েক বারে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা বিভিন্ন সময়ে উত্তোলন করেছেন এতে জনৈক শিক্ষকসহ শিক্ষা অফিসারের ভাগ আছে। কোন শিক্ষকতার এ অনিয়মের প্রতিবাদ করলে শিক্ষা অফিসার স্যারের ভয় দেখান এবং সার্ভিস বহিতে নেতিবাচক মন্তব্য লিখলে পেনশান পাওয়া যাবে না মর্মে হুমকি দেন। এদিকে স্লিপেরপ্লান তৈরির বই বাঁধাই বাবদ স্কুলপ্রতি ৫০০টাকা, ওরিয়েন্টেশন বাবদ স্কুলপ্রতি ৩ হাজার টাকা, কয়েকটি সেম আইটেম দিয়ে সেখান থেকে মালের তিন গুন টাকা নিয়ে নিজে ১ভাগ ও ব্যবসায়ী ১ভাগ লাভ নেন। গামছা ও তোয়ালে বিক্রি থেকে শুরু করে এহেন কাজ নেই যেটা শাহাজাহান আলী আমাদের ক্লাস্টারে করেননি। সকল জাতীয় দিবসে তিনি অনুপস্থিত থাকেন। নিয়মিত অফিসে বিলম্বে উপস্থিত হওয়া তার রুটিন। কারণ সে গর্ব সহকারে বলে বেড়ায় যে, আমি ১১টার আগে অফিসে আসিনা কিন্তু বেতন তো কম পাইনা। সে প্রতিদিন সকাল ১০টার আগে তার নলতার বাসা থেকে রওনা হয় না। তার স্কুল গুলোতে বলা আছে কেউ যদি ফোন করে তারা বলবে যে স্যার এইমাত্র ভিজিট করে চলে গেলেন। এসএমসি গঠনে মাননীয় সংসদের বিদ্যোৎ সাহী মনোনয়ন ব্যতীত আশাশুনি সদর ক্লাস্টারের এসএমসির পূর্ণাঙ্গ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে যা বিধি বহির্ভূত। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সমস্যাগ্রস্ত অর্থাৎ যারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে অপারগতা প্রকাশ করে তাদেরকে এবং ইবতেদায়ী ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী এবং বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের তালিকা ভূক্তির মাধ্যমে কার সাজি করা হয়েছে। বিগত জাতীয় সংষদ নির্বাচনের একই প্রক্রিয়ায় অর্থের (৫০০/১০০০) বিনিময়ে শাহাজাহান শিক্ষকদের নাম পরিবর্তন করিয়ে দেন। বিনামূল্যে পাঠ্য বই প্রদান বর্তমান সরকারের উল্লেখ যোগ্য একটি বড় সাফল্য। সেই সাফল্যকে ম্লান করে দেওয়ার জন্য অপচেষ্টায় শাহাজাহান। যার ফলে বর্তমানে শিশুরা পাঠ্যবই সংকটে রয়েছে।

বিবিধ অনিয়ম: এছাড়াও শাহাজাহান আলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার স্যারের সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৮ এর নম্বর ঘষামাজা করে বাড়িয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ ভাবে গ্রহণ করেন। এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ শিক্ষা অফিসার কর্তৃক দাখিল করা হয় কিন্তু বাবুল আক্তার স্যার কর্তৃক তদন্তে প্রমাণিত হলেও ডিপিইওকে ২লক্ষ টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেন শাহাজাহানসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ২০১১ সালে পিইডিপি-২ এর অধীনে মো.শাহাজাহান আলীর চাকরি হয়। তার ব্যাচমেট মো.আবু সেলিম এবং ঘনিষ্ঠবন্ধু। তারা দু’জনসহ আবদুর রকিব যশোরের শার্শা উপজেলায় চাকরি করতো। শাহাজাহান প্রথমে আশাশুনিতে বদলি হয়ে আসেন তারপর আবদুর রকিব এবং সর্বশেষ আবু সেলিমকে নিয়ে আশাশুনি শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতির আতুরঘর করে গড়ে তোলেন। কোন ভালো অফিসার আসলে অপকৌশল প্রয়োগ করে শাহাজাহানগং তাড়িয়ে দেন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে। বর্তমানে আবদুর রকিব ও আবু সেলিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শাহাজাহান অতিচালাক হওয়ায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। তাকে আইনের আওতায় নিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে শিক্ষা পরিবেশ ভালোহ বে। উপরি-উক্ত বিষয়াদি ছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষক হতে আলিসানবাড়ি তৈরি জন্য কোন শিক্ষক থেকে ৩০হাজার, আবার কোন শিক্ষক থেকে ২০ হাজার, আবার কারো নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধার নিয়েছেন। পরিশোধ করবেন কিনা শিক্ষকগণ সংশয়ে আছেন কিন্তু ভয়ে মুখবন্ধ করে রেখেছেন। উপরি-উক্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি ছাড়াও তারদ্বারা নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি সংঘটিত হয় যা তদন্তকালীন প্রমাণ পাওয়া যাবে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.শাহাজাহান আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহের তদন্তপূর্বক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান শিক্ষকরা।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
  • ১৬:৩২ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৩৭ অপরাহ্ণ
  • ২০:০০ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!