জমি জবর দখলের অভিযোগে সাতক্ষীরার তালায় ২৪জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্যাহ সরদারের কন্যা হালিমা বেগম (৬০) বাদি হয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলি ০৬নং আদালতে মামলাটি দাযের করেন। মামলা নং সিআর ১৪৯/২৪ (পাট:) তারিখ ৫ মে ২০২৪। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। আগামী ২৭ জুন মামলাটির ধার্যদিন। ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৭ (১) (২) ১০ ধারায় মামলাটি দাখিল করা হয়।
মামলার আসামীরা হলেন-মৃত শেখ আব্দুল আজিজের পুত্র আব্দুল হাই (৪৭), হরিষ চন্দ্রকাটি গ্রামের মৃত নির্মল কুমার ঘোষের ছেলে সনৎ কুমার ঘোষ (৫৭), তৈলকুপি গ্রামের মৃত মনা সাধুর ছেলে অসীম সাধু (৩৫), হিরা দাস (৩৪), দুলাল দাসের ছেলে মহাদেব দাস (৩২), শুভ দাস (২৫), মহাদেব দাস (৩০), বিশ্বনাথ দাস (৪০), সুজন দাস (২৬), উদয় দাস (৪৫) সহ ২৪জন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা জেলার থানা-পাটকেলঘাটা থানার শাকদহা মৌজার জেএল নং-৪১, এসএ খতিয়ান নং- ৪৪২, এসএ দাগ নং-১৮৯৫, ২০০২বর্তমান জরিপেডি,পি ৯৫৩ দাগ নং-৩৬২৩, ৩৬২৯ জমির পরিমান ২১ শতক যার উপর বাদীর বাড়িঘর, দোকান পাট আছে। বাদীর স্বামী একজন পঙ্গু ব্যক্তি হইতেছে। ছোট একটি মুদিখানার দোকানে ব্যবসা করিয়া জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।
উক্ত জমি বাদীর পৈত্রিক সম্পত্তি। এসএ রেকর্ডীয় মালিক বাদীর পিতা থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু অন্তে বাদীসহ তাহার অন্যান্য ভ্রাতাগণ বর্তমান জরিপে রেকর্ডভুক্ত করে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে আছে। বাদী তার অন্যান্য শরিকগণের সাথে মৌখিক এওয়াজ সূত্রে তপশীল জমি নিজ দখলে নিয়ে ঘরবাড়ি দোকান ঘর সহ শান্তিপূর্ণ ভাবে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। আসামীগণ দলবলে বলিয়ান হওয়ায় কতক আসামী তপশীল জমি জবর দখল করার জন্য ষড়যন্ত্র করলে বাদী গত ২৩-০৪-২০২৪ তারিখে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রে আদালত, সাতক্ষীরায় পি. ৮৩০/২৪ নং মামলা করে। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত তপশীল জমি বাদীর দখলে থাকবে এবং বাদীর পরিচালিত মুদি দোকান ঘরটি সংস্কার করতে পারবে মর্মে আদেশ প্রদান করেন। উক্ত আদেশ প্রাপ্তির পর আসামীগণ অবগত হয়ে গত ২৬ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে বর্ণিত জমিতে আসামীরা দা, লাঠি, শাবল বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদীর বসতবাড়িসহ মুদি দোকান লুটপাট করে ৩লক্ষ টাকা আত্মসাৎসহ বাদীর বসতবাড়ি ভাংচুর করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়। বাদী বাঁধা প্রদান করলে আসামীরা বাদীসহ তার পঙ্গু স্বামীকে মারধরসহ গাছের সাথে বেঁধে রাখে। আসামীরা বাদীর পাকা দোকানসহ বাড়িঘর ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।
বাদীর ডাক চিৎকার কান্না কাটিতে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে বাধা প্রদান করতে গেলে আসামীদের হুংকারে ঘটনা স্থানে যেতে পারেনি। আসামীরা ঘটনা স্থানে ত্রাস সৃষ্টি করে। বাদীর বসতঘর দোকানপাট ভাংচুর করে জীবননাশের হুমকি দিয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে।
বাদিনী তপশীল জমি এসএ রেকর্ডিয় মালিকের ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় বর্তমান জরীপে রেকর্ডভুক্ত থাকা অবস্থায় তপশীল জমির উপর দিয়া জোরপূর্বক অবৈধ রাস্তা অন্যের মালিকানাধীন সম্পত্তি নিজেদের স্বার্থে স্বীয় মালিখানা ধীন ভূমি হিসেবে প্রচার করে স্টেট অ্যাকুইজিশন এন্ড লিন্যানসি এ্যাক্ট ১৯৫০ অনুযায়ী হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান মালিক অথবা তার নিকট হতে উত্তরাধিকার সূত্রে হস্তান্তরবা দখলের উদ্দেশ্য সহযোগীগণ নিজেদের কোন কাগজ পত্র না থাকা সত্ত্বেও বাদীর সীমানা চিহ্নিত বসতঘর দোকানপাট ভাংচুরসহ ক্ষতি সাধন করে অবৈধভাবে বাদীর দখলচ্যুত করবার চেষ্টা করেছে। আসামীদের বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বাদীর তপশীল জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে বাদীর শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলীকার বিঘ্ন সৃষ্টি করছেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী হালিমা বেগম ও তার পরিবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন।