সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার মথুরাপুর (মুন্সিগঞ্জ) গ্রামের মৃত. নরেন্দ্র নাথ মন্ডলের পুত্র দীপংকর মন্ডল।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জ মৌঝায় জে এল নং ৮১, এস এ খতিয়ান ১৭৯, ১৮০ দাগ নং- ১০৭৩, ১০৭২ মোট জমির পরিমান ৩৪.৬৮ একর এজমালী সম্পত্তির মধ্যে ৩ একর সম্পত্তিতে আমরা ঠাকুর দাদার সময় থেকে প্রায় ৮০ বছর শান্তিপূর্ণ মাছ ও ধান চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। উক্ত সম্পত্তির খাজনা দাখিলা পরিশোধসহ সকল কার্যক্রম আমাদের রয়েছে। তবে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে উক্ত সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় “খ” তপশীল ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী খ তপশীল ভুক্ত সম্পত্তি অবমুক্ত হয়েছে। এদিকে খ তপশীল ভুক্তির সুযোগে এবং আমার অসহায় সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ায় একই এলাকার এছম গাজীরপুত্র আঃ রশিদ গাজী, ফটিক গাজীর পুত্র হাজী নুর ইসলাম, আজগার গাজীর পুত্র অলিউল্লাহ, মমিন আলীর পুত্র লিয়াকত গাজী, কমির গাজীর পুত্র আব্দুল মাজেদ সহ কতিপয় ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে। আমি উপায়ন্তর হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি যার নং পি-২৬৫/১৭(শ্যাম:)। আদালত উক্ত মামলায় সেখানে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন। এছাড়া বিষয়টি শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করিয়েও কোন প্রতিকার হয়নি। উল্টো তারা আদালতে নির্দেশ অমান্য করে বাড়িতে গাড়ী নিয়ে উদ্দেশ্যে প্রায় শতাধিক লোকবল নিয়ে আমাদের সম্পত্তি কেটে পাকা রাস্তা নির্মাণ শুরু করেছে। এক সময়ে তাদের কিছুই না থাকলেও বর্তমানে কোটিপ্রতি বনেগেছেন। বাড়ি গাড়িসহ প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হয়েছে আব্দুর রশিদ। ওই এজমালী সম্পত্তিতে আদালতের রায় ও সাব কোবলা ছাড়াই আংশিক জমিতে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেছে। বাধা দিতে গেলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা খুন জখমসহ স্ব পরিবারে উচ্ছেদ করে ভারতে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আর এ উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে জমির আইল ঢেলে, রাস্তার জোরপূর্বক আমার সম্পত্তির উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়াসহ নানা ধরনের অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন। যাতে আমি উপায়ন্তর হয়ে ভারতে চেলে যেতে বাধ্য হই। এমনকি ফসল চাষ করি আমি আর লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। হাজী নুর ইসলামের স্ত্রী নুর জাহান স্থানীয় মেম্বর হওয়ায় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে চলেছে।
সংখ্যালঘু পরিবার জিম্মি হয়ে পড়েছি। প্রকাশ্যে ভারতের তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকির পাশাপাশি ভূমিহীনদের তুলে দিয়ে উক্ত সম্পত্তি দখল করিয়ে দেওয়ারও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আব্দুর রশিদ ও হাজী নুর ইসলামের নেতৃত্বে উক্ত সম্পত্তির দক্ষিণ মাথায় আব্দুল মাজেদ নেট দিয়ে সীমানা নির্ধারন করে জবর দখলের পায়তারা করে যাচ্ছে। এব্যাপরে তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।