ঝালকাঠির রাজাপুরে মিথ্যা বানোয়াট অপ-প্রচার থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক যুবলীগ নেতা। সোমবার দুপুরে উপজেলার গালুয়া বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। যুবলীগ নেতার নাম মো. রফিকুল ইসলাম শরীফ। সে উপজেলার গালুয়া বাজার এলাকার মো. অহিদুল ইসলাম শরীফের ছেলে ও গালুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য। এ সময় রফিকের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম শরীফ ও স্থানীয় শফিকুল ইসলাম হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যুবলীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলাম শরীফ জানায়, একই এলাকার মো. আলতাফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে আব্দুল শুক্কুর হাওলাদারের সাথে দীর্ঘদিন গাছের ব্যবসা করতেন। ২০২১ সালে রফিকের ক্রয় করা পাঁচ লক্ষ সাইত্রিশ হাজার চার শত ত্রিশ টাকার গাছ রফিকের অনুপস্থিতিতে শুক্কুর বিক্রয় করে টাকা নিয়ে যায়। ঐ টাকা উদ্ধার করতে স্থানীয় গণ্যমাণ্যদে উপস্থিতিতে মিমাংশা হয়। মিমাংশায় প্রতিমাসে ১০হাজার টাকা করে শুক্কুর পরিশোধ করবে ধার্য করা হয়। বর্তমান সময় এসেও ঐ টাকা পরিশোধ না করে রফিকের প্রতিপক্ষের ইশারায় শুক্কুর রফিকের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার করে আসছে। যেমন, টাকা পরিশোধ না করে উল্টো রফিক তার কাছে সুদের আট লক্ষ টাকা দাবী করে তা বিভিন্ন জনের কাছে প্রচার করছেন। এমনকি শুক্কুর নিজে একজন মাদক কারবারী হয়েও রফিককে মাদক কারবারী সাজানোর চেষ্টা করছে। অথচ শুক্করের নামে বর্তমানেও দুইটি মাদক মামলা চলমান রয়েছে। এমনকি গত ১১ নভেম্বর ভাড়া করা দুই প্রতাকর এনে রফিকের বাড়িতে গিয়ে তাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। রফিক বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দিয়ে ধরিয়ে তাদের। পরে শুক্কুর সহ তিনজনের নামে থানায় প্রতারনার মামলা হয়। রফিকের প্রতিপক্ষরা এর আগেও বারবার ক্ষতি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েও খ্যান্ত হয়নি। তারা সুযোগ পেলেই রফিকের ক্ষতি করতে পারে। তাই অপ-প্রচার সহ প্রতিপক্ষের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন রফিক।
আব্দুল শুক্কুর হাওলাদার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, আমি তার গাছের ব্যবসার সাথে থেকে শ্রমিকের কাজ করতাম। তাকে না জানিয়ে কিভাবে আমি তার গাছ বিক্রয় করতে পারি?