বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০২:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
২ জুন অবরোধের ঘোষণা, সাতক্ষীরার সরকারি কলেজ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ সাতক্ষীরায় বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা কোটালীপাড়ায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই শ্রমিক ও গবাদি পশুর আশাশুনি উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার শাহাজাহান আলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ জমি জবর দখলের অভিযোগে তালায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা: তদন্তের নির্দেশ পিবিআইয়ের রাত পোহালেই ভোট, শ্যামনগরের দুর্গম দুই দ্বীপ ইউনিয়নে আজই যাচ্ছে ব্যালট সাতক্ষীরায় এশিয়ান পার্লামেন্টারি বিতর্ক’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত ধ্বংসের পথে তালার শতবর্ষী নাগেশ্বরী গাছটি কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশের নির্বাচনী ব্রিফিং সাতক্ষীরায় প্রতিবেশীর ভবনের গাঁ ঘেষে প্রাচীর নির্মান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আশাশুনির বাঁকড়া সেতুটি ভেঙে পড়ার ১৪ মাস পরও সংস্কার হয়নি, যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ

✍️রঘু নাথ খাঁ📝জেষ্ট প্রতিবেদক ☑️
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার ১৪ মাসেও সংস্কার কিম্বা নতুন করে নির্মাণ করা হয়নি। উপজেলার কুন্দুড়িয়া-বাঁকড়া সেতুটি এক বছর দুই মাস আগে হঠাৎ মাঝ বরাবর দেবে যায়। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) বলছেন সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের। দেবে যাওয়া সেতুটি সংস্কার কিম্বা নতুন করে তারাই করবেন। আর উপজেলা প্রকিৗশলী বলছেন, কুন্দুড়িয়া ও বাঁকড়া সড়ক তাদের। কিন্তু সেতুটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় নির্মাণ করেছিল। সেতুটির ব্যাপারে তাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। দুটি প্রতিষ্ঠানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে সেতুটির সংস্কার কাজ। এতে বেড়েছে জনসাধারণের বিড়ম্বনা।

আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ২০১৬- ২০১৭ অর্থ বছরে ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয়ে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থের বক্স টাইপের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণে পাইকগাছার মেসার্স জিএম হাসিব ট্রেডার্স ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে । মরিচ্চাপ নদী খননের পর হঠাৎ করে ২০২২ সালের ৪ জুলাই মাঝ বরাবর দেবে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, আশাশুনি উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত মরিচ্চাপ নদী বুধহাটা ও শোভনালী ইউনিয়নকে বিভক্ত করে রেখেছিল। ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে মানুষ আশাশুনি সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতো। কোনো খেয়া নৌকা কিম্বা ঘাট না থাকায় বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হতো। স্থানীয়দের দাবি মুখে ২০১৬- ২০১৭ অর্থ বছরে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে বুধহাটা ইউনিয়নের দক্ষিণে কুন্দুড়িয়া ও শোভনালী ইউনিয়নের উত্তরে বাঁকড়ায় এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির স্থানীয়রা নামকরণ করে বাঁকড়া সেতু। কিন্তু মাত্র পাঁচ বছর যেতে না যেতেই ২০২২ সালের ৪ জুলাই সেতুটির মাঝ বরাবর দেবে গেছে।

সাতক্ষীরা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বাঁকড়া সেতুটিতে মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির মাঝ বরাবর দেবে খননকৃত মরিচাপ নদীর পানিতে ছুঁয়েছে। সেতুটির পাশে পলেস্তারা খসে পড়েছে, রড়ে ধরেছে মরিচা। মটর সাইকেল ও ইজিবাইক থেকে মানুষ নেবে পায়ে হেঁটে সেতু পার হচ্ছে।

কুন্দুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক শাহ আলম বলেন, প্রতিদিন সাতক্ষীরা, দেবহাটা, কালীগঞ্জ, আশাশুনি, পাইকগাছাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫-৬ হাজার মানুষ এ সেতুটির উপর দিয়ে যাতায়াত করতো। কিন্তু মঝখানের বড় অংশ দেবে যাওয়ায় তাদের সেতুর উপর দিয়ে ঝূঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। আবার ভারি গাড়ি যাতায়াত করতে হচ্ছে ৮-১০ কিলোমিটার ঘুরে।

কুন্দুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বলেন, তাদের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা আসে বাঁকড়ার পাশ থেকে। প্রতিদিন কয়েক শত ছেলে মেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি পার হয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করে থাকে। সেতুটি সংস্কার না হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, তানাহলে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ইজিবাইক চালক শ্বেতপুর গ্রামের বাবুর আলী গাজী বলেন, তিনি ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। প্রতিদিন তিন থেকে চার বার ঝুঁকি নিয়ে তাকে এ সেতুটি পার হতে হয়। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তিনি দাবি করেন,মরিচ্চাপ নদী খননের ফলে খননকৃত নদীপ্রস্থের তুলনায় সেতুটি দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় সেতুটি দেবে যায়।

আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো: সোহাগ খান জানান, মরিচ্চাপ নদীর বাঁকড়া-কুন্দুড়িয়ার এলাকা দিয়ে মানুষ সহজে যাতায়াত করার জন্য ২০১৬-২০১৭ সালে সেতুটি তারা নির্মাণ করেছিলেন। তখন দুই পাশে কাঁচা সড়ক ছিল। নদীটিও ভরাট হয়ে ছোট হয়ে গিয়েছিল। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ওই সড়কটি এলজিইডি পাঁকা করার পাশাপাশি তাদের তালিকাভূক্ত করে নিয়েছে। ফলে ওই সড়কের ভেঙ্গে পড়া সেতুতে তাদের কাজ করতে পারে না। আবার মরিচ্চাপ নদীটি বছর দেড়েক আগে নতুন করে খনন করা হয়েছে। নদী বড় করে কাটানোয় মূলত সেতুটির মাঝ বরাবর ভেঙ্গে পড়ছে।

আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী মো: নাজিমুল হক জানান, সড়কটি পাঁকা করার অনেক আগে থেকেই এলজিইডির। সেতুটি মরিচ্চাপ নদীর উপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছিল ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে। সেতুটি তাদের নির্মাণ করার কথা। কিন্তু জনসাধাণের ভোগান্তির কথা বিবেচনা নিয়ে তিনি তথ্য সংগ্রহ করে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে নয় মাস পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো নির্দেশান আসেনি।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০২ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
  • ১৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৩৩ অপরাহ্ণ
  • ১৯:৫৩ অপরাহ্ণ
  • ৫:২১ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!