আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম আর্থিক সহযোগিতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার উত্তর কাটিয় বাংলাদেশে মানব পাচার প্রতিরোধে প্রচার বিরোধী একটি সমন্বিত কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
এটা মূলত সুবিধাভোগী দলের সাথে উঠান বৈঠক এবং ভিডিও প্রদর্শনীর মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন এবং মানব পাচার প্রতিরোধে সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মেয়ে, ছেলে, শিশু, মহিলা ও পুরুষ পাচারকে চিহ্নিতকরণ ও রহিতকরণ কর্মসূচি গ্রহন করে।
উঠান বৈঠকে তিন (৩) শ্রেণীর মানুষের সমাবেশ ছিল। তারমধ্য প্রায় ২০ – ২৫ জন ছিল বিদেশ থেকে পাচারের শিকার হয়ে ফেরত আসা বাংলাদেশী মানুষ, তার পরিবার এবং সম্ভাব্য বিদেশে গমন নারী জনগোষ্ঠী।
বৈঠকের আলোচনার এক পর্বে মানব পাচারের বিষয় গুলো উঠে আসে যে, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন দাসত্ব অথবা পাচারকৃত মানুষদেরকে ব্যবসায়িক যৌনশোষণমূলক কাজে নিয়োজিত করার জন্য সংঘটিত অবৈধ মানব বাণিজ্যকে মানব পাচারের আওতায় ভুক্ত করা হয়। মানব পাচার বল প্রয়োগের মাধ্যমে সংঘটিত একটি অপরাধ যা মানুষের মুক্ত চলাচলের অধিকারকে হরণ করে। মানব পাচার মূলত নারী এবং শিশু পাচারকেই ইঙ্গিত করে থাকে।
বাংলাদেশে মানব পাচার প্রতিরোধে পরিস্থিতি উন্নত করা প্রয়োজন। মেয়ে, নারী ও শিশু পাচারের হার কমানো, পাচারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, পাচার প্রতিরোধে কেন্দ্র থেকে স্থানীয় প্রশাসন পর্যন্ত একটি সমন্বিত প্রাতিষ্ঠানিক কর্মপরিকল্পনা দাড় করানো, সরকারী ও এনজিও প্রতিনিধিদের বিভিন্ন পর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এগুলোর সবই সত্যিই কঠিন কাজ এবং কোভিড-১৯’র এই বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে এই লড়াই আরো বেশী জরুরী হয়ে পড়েছে। পাচারকারীরা মহামারী সৃষ্ট বিশৃঙ্খল অবস্থাকে পুঁজি করছে। এই অপরাধের জন্য তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। আমাদের জন্য এখনই সময় স্বাধীনতা সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়ার। মানব পাচার নির্মূলের এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাংলাদেশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্বের বিষয়ে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
প্রগ্রামের অংশ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাইটস যশোর (মানবাধিকার সংগঠন) – এর প্রগ্রাম ম্যানেজার, এস এম আজহারুল ইসলাম, প্রগ্রাম অফিসার মোতাহার ইসলাম, সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলর শামীম রেজা সহ আরও অনেকে।
উঠান বৈঠক টি সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেছেন প্রগ্রাম অফিসার, মো.আলমগীর হোসেন।