মানুষের চাহিদার শেষ নেই। একমাত্র মৃত্যুই পারে মানুষের চাহিদার অন্ত টানতে। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যাদের চাহিদা অনেক কম। তাই তাদের হারানোর ভয় নেই বললেই চলে। এমনই একজন যুবক সাতক্ষীরা সদরের বদরুল ইসলাম।
সে সাতক্ষীরা কুকরালি গ্রামের চালতে তলা এলাকার গোলাম রব্বানির ছেলে। পেশায় হোটেল মেসিয়ার হলেও তার স্বপ্ন ভেঙেছে অনেক আগে। করোনা নামক বৈশ্বিক মহামারী অনেক মানুষের মত তার স্বপ্নকেও ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। একমাত্র কাজ হারিয়ে চারদিক যখন অন্ধকার। ঠিক তখনই পকেটে থাকা দুই টাকা তাকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়। নতুন আইডিয়া নিয়ে মাত্র দুই টাকায় কিভাবে মানুষের কাছে পৌছানো যায় তা চিন্তা করতে থাকে। অবশেষে তার পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলে ভ্রাম্যমান সিংড়া ও সমোচার দোকান। সাতক্ষীরা সদরের বড় বাজার, পাঁকা পোলের মোড়, ডে-নাইট কলেজ মোড়, কেষ্ট ময়রার ব্রিজ, নিউ মার্কেট মোড়, হাটের মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে দেখা যায় বদরুলের ভ্রাম্যমান সিংড়া ও সমোচার দোকানটি। বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা অনেকটা আগ্রহের সাথে এই ভ্রাম্যমান দোকান থেকে সিংড়া ও সমোচা কিনতে দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সদরের রসুলপুর এলাকার শহিদুল ইসলাম বলেন এখন কার সময় মাত্র দুই টাকায় সিংড়া বা সমোচার কথা চিন্তা করা যায় না। দেখতে ব্যেতিক্রম, আকারে ছোট, দামও কম তাই পোতা রেদওয়ানের জন্য সিংড়া ও সমোচা কিনলাম। কদমতলা এলাকার ভেন চালক আমিরুল ইসলাম বলেন এত কম দামে সিংড়া ও সমোচা সাতক্ষীরায় কোথাও পাওয়া যায় আমার জানা নেই। আর খেতেও খুব ভাল তাই আমিও কিনেছি। বড় বাজারের সবজি বিক্রেতা আনারুল ইসলাম বলেন মাত্র দুই টাকায় সিংড়া ভাবতেই ভাল লাগে। দুপুর বেলা খেতেও ভাল লাগছে। এই বিষয়ে বদরুল বালে, সিংড়া, সমোচা সবাই খেতে পারে। এখন আমি প্রতিদিন গড়ে ৫০০/৬০০ পিস সিংড়া ও সমোচা তৈরি করছি। বেকার অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছি। এখন আমার অবস্থা আগের থেকে অনেক ভাল। স্কুল কলেজ খুললে আশা করি আমার বিক্রি আরও বাড়বে।