সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরকে অস্থিতিশীল ও উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন আমদানি রপ্তানিকারক এ্যাসোসিয়েশন নামীয় নিবন্ধনহীন একটি সংগঠন। জানা গেছে সংগঠনের নামে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে ভোমরা সংশ্লিষ্ট উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার নামে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন, মোটরসাইকেল শো-ডাউন, সরকার বিরোধী ব্যক্তিগণের সাথে গোপন বৈঠক, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এতে একদিকে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে বন্দরের প্রকৃত আমদানি-রপ্তানিকারকগণ বির্বতকর অবস্থায় পড়ছেন।
এদিকে ভোমরা স্থল বন্দর সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা বন্ধে এবং বন্দরের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে বুধবার (৮ মে) জেলা প্রশাসকের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিতভাবে এ আবেদন জমা দিয়েছেন ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকছুদ খান।
ভোমরা কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ এজাজ আহম্মেদ স্বপন বলেন ভোমরা বন্দরকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করার লক্ষে অনিবন্ধিত আমদানী ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন সরকার ও বন্দেরের ভাবমুক্তি নষ্ট সহ ভোমার স্থল বন্দরের রাজস্ব আদায়ের বাধা সৃষ্টি করছে। এছাড়া মনগড়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগ সরকার বিরোধী পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করছে। যারা এই কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টাস্ত মুলক শাস্তির দাবী করছি।
ভোমরা কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খান বলেন ২০১৩ সালে সাতক্ষীরার সরকার বিরোধি চক্র সাতক্ষীরা কে অচল করার চক্রান্ত করেছিল সেই সমস্ত লোকজন বন্দরকে ব্যবহার করে নিজেদের সার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে। এতে করে বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনিয়ম করার জন্য বিভিন্ন রকম চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। বন্দর কতৃপক্ষ অনিয়মের কাছে মাথা নত না করে সঠিক পন্তায় রাজস্ব আদায় করে যাছে এতে করে কতিপয় অসাধু আমদানী রপ্তানি ও কিছু সি এন্ড এফ সদস্যরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভোমরা বন্দরের ভাবমুক্তি অক্ষুন্ন রাখাতে ও ব্যবসায়ীদের আস্থা আরো বাড়াতে পিছপা হবোনা ইনশাআল্লাহ।
এ ব্যাপারে কাস্টমের এক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিছু আমদানী ও রপ্তানী কারক প্রতিষ্ঠান ও কিছু সিএন্ডএফ সদস্যরা আমাদের কাছে সুযোগ সুবিধা না পেয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চলাচ্ছে। আমরা সরকারী আদেশ মোতাবেক রাজস্ব আদায় করে যাচ্ছি। যত দিন চাকুরি করবো ততদিন সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখব।