করোনায় একবছর বন্ধ থাকার পর এবার আবারো দেশের গন্ডি পেরিয়ে ইউরোপ যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম। বিদেশে আম পাঠাতে পেরে খুশি আম চাষীরা। দু’বছর আগের চেয়ে দ্বিগুন আম এবার বিদেশের বাজারে যাচ্ছে। আমের স্বাদ ও মান ভাল হওয়ায় রপ্তানী বাড়ছে সাতক্ষীরার আম।
সাতক্ষীরা খামারবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, মাটি ও আবহাওয়া অনুকুলে হওয়ায় অন্যান্য স্থানের তুলনায় আগেই বাজারজাত করা যায় সাতক্ষীরার আম। আমের স্বাদও ভাল। এসব কারণে ২০১৪ সাল থেকে আম রপ্তানী হচ্ছে ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানী, লন্ডন, ইটালি ও পর্তুগাল। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও এফএও এর যৌথ কারিগরী সহায়তায় শনিবার রপ্তানীর উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ছেড়েছে ৫০০ কেজি গোবিন্দভোগ জাতের আম।
আম চাষী কাশেমপুরর হায়দার আলী, পুরাতন সাতক্ষীরার আবু জাফর ছিদ্দিকীসহ কয়েকজন জানান, দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সাতক্ষীরায় দিন দিন বাড়ছে আম চাষ। গুনগত মান বজায় রাখতে সদা তৎপর ছিলেন আম চাষিরা। বিদেশে আম পাঠাতে পেরে খুশী তারা। তবে তারা আমের দাম নিয়ে মনক্ষুন্ন।
তবে সরকারি প্রশিক্ষণ ও পৃষ্টপোষকতা পেলে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন জাতের আম বিদেশীদের রসনা তৃপ্ত করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন আম চাসী ও ব্যবসায়িরা।
প্রোগাম অফিসার, সলিডারিডোড নেটওয়ার্ক এশিয়া এর প্রোগ্রাম অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জেলা জুড়ে ৫০০ জন চাষিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বেসরকারি সংস্থা সলিডারিডোড। নিরাপদ আম বিদেশে পাঠাতেই এই প্রচেষ্টা।
বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ এর সফল প্রকল্প এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বলেন, এবছরই গোবিন্দভোগ আম বিদেশ যাচ্ছে। আমের বিদেশের বাজারকে সুসংহত করতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে ‘সফল প্রকল্প’।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার কৃষিবিদ নূরল ইসলাম জানান, এবারে ৫০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। জেলায় এবার ৫ হাজারেরও বেশি বাগানে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার মে.টন। আর ৫০০ হেক্টর জমিতে গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ আম চাষ করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয় সাতক্ষীরার আম বিদেশে যাত্রা। করোনার কারণে গতবছর বন্ধ থাকার পর এবারো আম জার্মানী, ফ্রান্স, ইটালিসহ বিদেশের বাজারে যাচ্ছে।