মুক্তিযোদ্ধার ভাগ্নে পরিচয়ে আশাশুনিতে অসহায় বৃদ্ধার ৯৯ বছরের ইজারাকৃত সম্পত্তি দখলের প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্তালেব মিলনায়তনে আশাশুনির বুড়িয়া গ্রামের মৃত. শাহাজুদ্দিন কন্যা বৃদ্ধা রাবেয়া খাতুন এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা অসহায় হওয়ায় ০১ নং খাস খতিয়ানের ৩১৫/৩৫৪ নং দাগে ০.৫০০০ একর জমি (দেড় বিঘা) ৭২৩/৯০-৯১ নং চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত
মূলে আমার পিতা সাহাজুুদ্দিন গাজী দিং এর নামে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়।
সে মোতাবেক উক্ত সম্পত্তি ভোগদখল করা কালে বড়দল এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান জীবিত থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে
রাতারাতি বাড়িঘর নির্মাণ করে সম্পত্তির আংশিক দখল করে। বাকী অংশে আমরা ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলাম। ঐ সম্পত্তির খাজনা দাখিলাসহ সকল
কাগজপত্র আমাদের পক্ষে রয়েছে।
তারপরও আব্দুল হান্নান ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে ভোগ করতে থাকে। আব্দুল হান্নান সেখানে বসবাস করলেও আমাদের উপরে কোন ধরনের নির্যাতন বা অত্যাচার করতো না। আব্দুল হান্নানের কোন সন্তান ছিলো না। ২০১১ সালে আব্দুল হান্নান ও পরে তার স্ত্রীও মারা যান। তার মৃত্যুর পর তার কথিত ভাগ্নে পরিচয়ে খুলনা জেলার পাইকগাছা এলাকার মিজানুর রহমান বড়দলে এসে হান্নানের ঘরবাড়িসহ আমাদের পুরো সম্পত্তি দখল করে নেয় এবং আমাদের উচ্ছেদ করতে বাড়িঘর ভাংচুরসহ নানা অত্যাচার করতে থাকে। এবিষয়ে মিজানুর রহমান আদালতে মামলা দায়ের করলেও কোন কাগজপত্র উত্থাপন করতে না পারায় রায় আমাদের পক্ষে আসে। এছাড়া স্থানীয় ভূমি নায়েব তদন্তপূর্বক সেখানে মিজানুরের কোন স্বত্ব নেই মর্মে উল্লেখ করেন। মিজানুর রহমানকে সেখানে যেতে বা ঘরবাড়ি নির্মাণের বার বার এসিল্যান্ড অফিস থেকে নিষেধ করলেও সে সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে যাচ্ছে।
তারপরও আমাদের মত অসহায়ের ইজারাকৃত সম্পত্তি অদৃশ্য শক্তির বলে ভোগদখল করে যাচ্ছে। সম্প্রতি গত ২৮ জুন সকালে মিজানুর রহমান উক্ত সম্পত্তির এক কোনায় থাকা আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। পরে ১২ জুলাই রবিবার স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীব্যক্তিকে ভুল বুঝিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধার বাড়ী ঘর ভাংচুর করেছি।
যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নানের কোন সন্তানই ছিলো না। মিজানুর, তার পুত্র সজল গংই আমাদের বাড়ি ঘরভাংচুর করে।
আবার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশ করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র কৌশলে আমার পিতার সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে এধরনের মিথ্যাচার করে মানববন্ধনের নাটক সাজিয়েছে। মিজানুর গং আমাকে এবং সন্তানদের প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। ভয়ে আমার সন্তানরা বর্তমানে বাড়ি ছাড়া।
তিনি মিজানুর গংয়ের হাত থেকে সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।