মাঠে কাজ করার জন্য শ্রমিক ঠিক করতে এসে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক সন্তানের এক জননীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কালিগঞ্জের বিশ্বনাথপুর গ্রামের এক গৃহবধু (৩০) জানান, তার স্বামী বর্তমান শরিয়তপুরের এক ইটভাটায় কাজ করেন। তিনি নিজেও মাঠে মুজুরি খাটেন। তার একমাত্র ছেলে নবম শ্রেণীতে পড়াশুনারত অবস্থায় স্কুল যাওয়া বাদ দেয়। সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ছেলেকে নিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে শুয়ে পড়েন। এ সময় একই গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে আরিফুল (৩৪) তাকে উঠানে দাঁড়িয়ে ডাকতে শুরু করে। একপর্যায়ে মঙ্গলবার তাদের খেতে কাজ করতে যাবো কিনা তা জানতে বাইরে আসতে বলে। তিনি দরজা খুলে উঠানে আসার সাথে সাথে আরিফুল তার মুখ চেপে ধরে এক পাশে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার গোঙ্গনি শুনে ছেলে বাইরে এলে আরিফুল দৌড়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের জানান। একপর্যায়ে খবর দিলে রণজিৎ সরকারের বাড়িতে ইউপি সদস্য বাবুল আক্তারসহ আরিফুলের বাবা, মা , চার ভাই চলে আসে। এ সময় তারা ঘটনার জন্য দূঃখ প্রকাশ করে এ ধরণের কাজ আর কখনো করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে চলে যায়।
ওই গৃহবধুর অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে মুচলেকা দিতে হওয়ায় আরিফুল তার ছেলেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
জানতে চাইলে তারালী ইউপি সদস্য বাবুল আক্তার বলেন, আরিফুল যে কাজ করেছে সেটা মারাত্মক অপরাধ। ওই নারী আইনি সহযোগিতা চাইলে তিনি সব ধরণের সহায়তা করবেন।
আরিফুল ইসলাম বলেন, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। ওই মহিলাকে হুমকির ঘটনা ঠিক নয়।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হুসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।