দারোগার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের দপ্তরে অভিযোগ করে সাজানো মামলায় ফেঁসে গেলেন অবসর প্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তা। অবসর প্রাপ্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তার প্রতিপক্ষ গ্রুপকে দারোগা উসকে দিয়ে ঘটনার ১৯ দিন পর সাজানো (হত্যা প্রচেষ্টা) মামলাটি তালা থানায় এজাহার হিসেবে গণ্য করেছেন। আর এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও নিয়োগ করা হয়েছে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তালা থানার সই এসআই মেহেদি হাসানকে।
সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা তালা থানার তেতুলিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, গত ৭ জুন তার দীর্ঘ দিনের ভোগ দখলীয় বাস্তভিটা সংলগ্ন ৬২ শতক জমি তার প্রতিপক্ষ ইসাহাক আলী মোড়ল লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে দখল করতে যায়। এ সময় দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি রক্ষার জন্য আব্দুল রতিফ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে ঘটে যায় বিপত্তি। দখলদার গ্রুপের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পুলিশের এক বিশাল বহর। অভিযোগ রয়েছে ওই জমি দখলের জন্য এসআই মেহেদি হাসানের সাথে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল লতিফের প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে লেনদেন হয়েছে। ইসাহাক আলী মোড়ল ওই জমি দখল করতে না পারায় শত শত মানুষের সামনে এসআই মেহেদি অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ ও সম্মানহানি ঘটায়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ব্যাংকার আব্দুল লতিফ সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর গত ১৭ জুন একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। এরপর এসআই মেহেদি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওঠেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে দেয়া অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলে গত ১৯ জুন ইসাহাক মোড়লের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অভিযোগ করেন, ব্যাংকার আব্দুল লতিফ তার মায়ের পেটে লাথি মারে। অথচ গত ২৬ জুন তালা থানার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করছেন ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ হত্যার উদ্দেশ্যে ইসাহাক মোড়লের মাথায় কোপ দিতে গেলে হাত দিয়ে ঠেকানোর সময় তার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। অভিযোগ রয়েছে সবকিছু ঘটেছে তালা থানার এসআই মেহেদি হাসানের ইন্ধনে। এ ঘটনায় তালা থানার ওসি মেহেদি রাসেলের ভুমিকাও রহস্য জনকে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে তালা থানার এস আই মেহেদি হাসান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি দখল প্রক্রিয়ার সাথে সম্পক্ত নন। দুই পক্ষকে নিবত করার জন্য যতটুকু করার প্রয়োজন ততটুকুই তিনি করেছেন।