গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান পিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন পিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) এসআই মাসুম বিল্লাহ, এএসআই শামসুল আলম, এএসআই খায়ের, কনস্টেবল সোহাগ, পলাশ, ইকবাল, রুহুল, সারজিদ, আক্তার ও বাশারের অংশগ্রহনে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া, মুকসুদপুর ও সাতপাড় সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা কুখ্যাত ইজিবাইক চোর চক্রের ২জন সক্রিয় সদস্য গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড়ের মৃত- কমলেশ বিশ্বাসের ছেলে রতন বিশ্বাস (৪২) ও মৃত- দিলিপ সরকারের ছেলে জিমুত সরকারকে ৭টি ইজিবাইকসহ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের ভাষ্যমতে, প্রথমে উক্ত চক্রের ২/৩ জন সদস্য যাত্রী সেজে ইজিবাইক ভাড়া করে। কিছুদুর যাওয়ার পর যাত্রী দোকান থেকে স্পীড/মোজো ইত্যাদি ড্রিংকস (কোমল পানীয়) কিনে নিজেরা খায়। তারপর কৌশলে অবশিষ্ট ড্রিংকসের (৩ ভাগের ১ভাগ) সাথে চেতনানাশক/ ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ইজিবাইকের চালককে খাওয়ার অনুরোধ করে, ইজিবাইক চালক চেতনানাশক যুক্ত ড্রিংকস পান করে অচেতন হলে, পরে সুযোগ বুঝে যাত্রীবেশী চোরেরা চালককে নামিয়ে/ ফেলে রেখে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।
ধৃত চোরচক্রের সদস্যরা এভাবে নানা কৌশলে ইজিবাইক চুরি করে বিভিন্ন জেলায় তাদের পরিচিত গ্যারেজ/ সদস্যের কাছে পৌঁছে দেয় এবং পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন লোকের নিকট সেগুলো বিক্রি করে।
উক্ত ইজিবাইক চোর চক্র গোপালগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলা হতে এ যাবৎ ৭০ থেকে ৮০টি ইজিবাইক চুরি করে বিক্রির কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ অবশিষ্ট চোরাই ইজিবাইকগুলো উদ্ধার ও ইজিবাইক চোরচক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে গণমাধ্যমকে জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।
চৌকস এই পুলিশ কর্মকর্তা যাত্রাপথে অপরিচিত লোকের দেওয়া খাবার সহ অন্যান্য জিনিস পত্র পরিহার করতে সকলকে অনুরোধ জানান।