সাতক্ষীরায় ইসলামী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার চক্রান্ত জড়িয়ে দেউলিয়া হওয়া আবু সাঈদ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে দুই ডজন মিথ্য মামলায় জড়োনোর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এই অভিযোগ করেন পুরাতন সাতক্ষীরা মাদ্রাসা পাড়ার আওরঙ্গজেব সরদারের ছেলে আবু সাঈদ শাহাজাহান সরদার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নিজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্য ২০১৬ সালে ব্যাংক লোন নেয়ার চেষ্টা করতে থাকি। এসময় ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখার ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র অফিসারের পরামর্শ নিজের পিতার সম্পত্তির জাল দলিল সৃষ্টি করূ ব্যাংকে জমা দেই এবং এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকা লোন পাশ হয়। কিন্তু লোন পাশ হওয়ার পর ওই দুই কর্মকর্তা শর্তদেন যে, তাদেরকে লোনের এক অংশ করে টাকা দিতে হবে, যেটা তারা পরিশোধ করবেন। ব্যাংকের টাকা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করলেও ব্যবসায় সফল হতে পারেনি। এদিকে শর্ত অনুযায়ী ব্যাংকের ওই দুই কর্মকর্তা তাদের গ্রহণ করা এক অংশের টাকা পরিশোধ না করে তালবাহনা শুরু করেন। ফলে আমিও সঠিক সময় ব্যাংক টাকা দিতে না পারায় খেলাপী হতে থাকি।
আবু সাঈদ শাহাজাহান সরদার অভিযোগ করে বলেন, আমার খেলাপী হওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইসলামী ব্যাংকের ওই দুই কর্মকর্তা লানের পুরো টাকার দায়ভার আমার উপর চাপিয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় দু’ডজন মামলা করেছে। এখন ওই দুই কর্মকর্তা অমার কাছ থেকে টাকা গ্রহণের কথা অস্বীকার করেছে। লোনের টাকা সুদ আসল ২কোটি ৫৪ লাখ টাকা হয়েছে। ফলে একদিকে ব্যবসায়ীকে ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অন্যদিকে লোনের বোঝা মাথায় নিয়ে প্রায় প্রতিদিন মামলায় আমাকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়। পরিবারের সদস্যরা এখন প্রায় না খেয়েই জীবন যাপন করছে। কোর্টে হাজিরা দেয়ার টাকাও নেই আমার কাছে। দেউলিয়া হয়ে পাগলের মত বেঁচে আছি। লাভের আশায় যাদের পরামর্শ ঋণ নিয়ে দেউলিয়া হলাম তারাই আমার বিরুদ্ধে মামলা করে আমাকে হেনস্থ করছে।
তিনি আরো বলেন, ইসলামী ব্যাংক লিঃ সাতক্ষীরা শাখার ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র অফিারের পরামর্শে নিজের পিতার সম্পত্তির জাল দলিল সৃষ্টি করে ব্যাংক থেকে এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকা লোন নেয়ায় পিতা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আবার লোনের টাকা উত্তোলনের পর দুই ব্যাংক কর্মকর্তা টাকার ২ অংশ গ্রহণ করলেও এখন অস্বীকার করছে। এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকার মধ্যে আমি পেয়ছিলাম ৩ ভাগের ১ ভাগ। বাকি দুই ভাগ ওই দুই ব্যাংঊ কর্মকর্তা নিয়েছিলেন। এখন পুরো টাকা পরিশোধের দায়ভার আমার উপর চেপেছে।
তিনি আদালতে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুই ডজন মামলা প্রত্যাহার পূর্বক ওই দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের সুযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।