সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের আলোচিত বাবু হত্যা মামলার আসামীরা মামলা তুলে নিতে বাদিও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আব্দুল মোতালেব এক সংবাদ সম্মেলন কালিগঞ্জ উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের মৃত বদরুদ্দীন সরদারের ছেলে খলিলুর রহমান এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, আবিদ হোসেন ওরফে বাবু হত্যায় নেতৃত্বদানকারি একাধিক হত্যাসহ প্রায় ডজন মামলার আসামী কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রামের মৃত আরশাদ আলী মোড়লের ছেলে কুখ্যাত ডাকাত নুরুল মোড়লও তার সস্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা পলাতক থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদিও তার পরিবারের সদস্যদের খুন ও গুমর হুমকি দিচ্ছে। সস্ত্রাসী নুরুল, আরিফ ও সাবিনাসহ ১০/১২ জন সস্ত্রাসী বাবুকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। বাবু হত্যার রাতেও নুরুলের বাড়িতে নৈশভোজ একত্রিত হয়েছিল নুরুল, ভেঞ্জুর, আরিফ ও ওহাব আলীসহ ১০/১২ জন। পুলিশ আরিফ ও সাবিনাকে আটক করলেও কুখ্যাত খুনি নুরুলসহ অন্যান্য আসামীদের পুলিশ এখনো আটক করতে পারেনি। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনে রাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে খুনি নুরুলসহ অন্যান্য আসামীর। নুরুল বাহিনীর কারনে এলাকার সম্পদশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি সহ ছোট বড় ব্যবসায়ীরা অসহায় হয়ে পড়েছে। রাতের আধার তারা আরো ভয়ংকর হয়ে উঠে। নুরুল ডাকাত ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যাকান্ড, ঘের দখল, ঘের লুট, জমি দখল, এসিড নিক্ষেপ, অন্যের ঘর আগুন জ্বালানাসহ অনেক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে। এই নুরুল বিগত ২০০০ সাল ১৬ জুন বন্দকাটি গ্রামের আব্দুর রশিদ মোড়লকে পিটিয়ে হত্যা করে। এই বাহিনীর ভয়ে বিঞ্চুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন ও আমিসহ ১০/১২ জন্য নিরাপত্তার দাবিতে কালিগঞ্জ থানায় জিডি করেছি। খলিলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বাবু হত্যার পর নুরুল পালিয়ে ভারতে চলে যায়। ভারতেও তার নামে প্রায় হাফ ডজন মামলা রয়েছে। ভারত তার নাগরিকত্ব রয়েছে। আমি বাবু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে করায় এবং হত্যাকারিদের বিরুদ্ধে কথা বেলায় খুনি নুরুল ডাকাত লোক মারফত আমাকে ভয় দেখাচ্ছে ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বাবু নিহত হওয়ার তিনদিন পর রাতে সস্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল আমার বাড়ির গেটে গিয়ে হুঙ্কার দেয়। যে কোন সময় সে আমাকে গুমও খুন করতে পারে। ফলে নুরুল ডাকাতের ভয় মামলার বাদি এবং আমি ও আমাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। সস্ত্রাসী বাহিসী নিয়ে প্রতিনিয়ত অপরাধ সংঘঠিত করে বেড়াছে। তার ভয় এলাকার ভুক্তভোগি কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। বাবুকে হত্যার পর তারা অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চেষ্টা করে। তারই অংশ হিসাবে আমাকে ও ফিরোজ লস্করসহ নির্দোষ ব্যক্তিদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলা এবং অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তিনি এই মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে খুনি নুরুল সহ তার বাহিনীর সদস্যদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে বাবু হত্যা মামলার আসামী খুনি নুরুলসহ তার সস্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার পূর্বক প্রচলিত আইন সবোর্চ্চ শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্রী ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলন বন্দকাটি গ্রামের চৌকিদার নুর ইসলাম মোড়ল, নীলকণ্ঠপুর গ্রামের সালাম গাজী ও সিরাজুল সরদার উপস্থিত ছিলেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।