সাতক্ষীরার কলারোয়ার হিজলদী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাপত্নী তার ধর্ষকদের বিচার দাবি করেছেন। ১৮ বছর আগে সংঘটিত এই ধর্ষনকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচার নতুন করে শুরু করার আহবান জানান। ধর্ষিতা একইসাথে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলারও বিচার চেয়েছেন।
২০০২ সালের ২৬ আগস্ট হিজলদী গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী। গভীর রাতে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নিকটস্থ একটি জঙ্গলে ফেলে ধর্ষণ করা হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ঘটনার পর ৩০ আগস্ট তারিখে খুলনা সফররত তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা খুলনা থেকে তাকে দেখতে সাতক্ষীরা হাসপাতালে আসেন। পরে তিনি যশোর অভিমুখে ফিরে যাবার সময় সস্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। শেখ হাসিনা প্রান রক্ষা পেলেও তার সফরসঙ্গীদের কয়েকজন আহত হন। এসময় গুলির ঘটনা ঘটে।
ওই ধর্ষন মামলার সাতক্ষীরার আদালতে আমিরুল বৈদ্য, আসাদুজ্জামান, তাজাম্বর ও হাসান এর বিরুদ্ধে পুলিশ ২০০২ সালের ২১ নভেম্বর চার্জশীট দেয়। এতে সবাই খালাস হয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি আরও আতংকিত হয়ে পড়েন। পরে তিনি চলে যান যশোরের মনিরামপুরে। এরপর দীর্ঘসময় ঢাকায় কাটিয়ে সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরেছেন।
শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বেশ কিছু উপহার নিয়ে ধর্ষিতার সাথে তার বাড়িতে এসে সাক্ষাৎ করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনির, ডেপুটি এটর্ণি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, হাশেম আলী ও তাদের সঙ্গীরা। তিনি এসময় তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসময় বলেন, মাহফুজা ধর্ষন মামলাটি পুনরজ্জীবিত হবে এবং বিচারের মাধ্যমে ধর্ষকদের শাস্তির চেষ্টা করা হবে।
চন্দনপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি জানান, শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ওই ধর্ষিতা ১৫ শতক জমি ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেন। এই খাস জমিতেই তারা বসবাস করতেন। এই জমি কেড়ে নেওয়ার লক্ষ্য তার ওপর এই পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়।