জমি ও মাদ্রাসা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এক কৃষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের বিশ্বাসপাড়া থেকে পুলিশ ওই কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহতের নাম মোসলেম আলী বিশ্বাস ওরফে ভোমর (৬০)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের নঈমুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
দেয়াড়া গ্রামের আছিয়া খাতুন জানান, দেয়াড়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অহেদ আলীর সঙ্গে তার স্বামীর বিরোধ রয়েছে। তিন বছর আগে তার স্বামীকে মারপিট করে অহেদ ও তার লোকজন। এ ছাড়া জমি নিয়েও বিরোধ আছে অহেদের সঙ্গে।
আছিয়া খাতুন আরো জানান,তার দু’ ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে বাচ্চু মালয়েশিয়ায় থাকে। বাচ্চুর টাকা দিয়ে কয়েক মাস আগে বাড়ি থেকে কয়েক’শ গজ দূরে নতুন বাড়ি বানিয়ে দেয়া হয়। নতুন বাড়িতে তারা মাঝে মাঝে অবস্থান করতেন। মঙ্গলবার তিনি দুর্ঘটনায় জখম ভাই বাবুকে দেখতে বাপের বাড়ি সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরে আসেন ছোট মেয়ে নার্গিসকে নিয়ে। নার্গিস বুধবার দুপুরে বাড়ি ফিরে যায়। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তার স্বামী ভাত খেয়ে নতুন বাড়িতে যায়। সকালে তিনি বাড়িতে আসেননি। বাড়ির লোকজন ওই বাড়িতে যেয়ে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। ফলে তার স্বামীকে সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তালা ভেঙ্গে গলাকাটা অবস্থায় লাশ দেখতে পায়। মাদ্রাসা ও জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল বলেন, বুধবার রাতে কৃষক মোসলেম আলী বিশ্বাসের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে লাশরে ময়না তদন্ত শেষে বৃহষ্পতিবার বিকালে স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে বৃহষ্পতিবার দুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।