প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতা থাকাকালে কলারোয়ায় তার গাড়িবহরে হামলার মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়েছে।
রবিবার ৬ জন স্বাক্ষীর জবানবন্দী রেকর্ড করেন আদালত। এরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহমেদ, শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী ফাতেমা জাহান সাথী, ক্যামেরাম্যান শহীদুল ইসলাম, জোবায়দুল হক রাসেল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সৈনিক লীগ নেতা সরদার মুজিব। সাতক্ষীরা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা হাসপাতালে গনধর্ষনের শিকার কলারোয়ার হিজলদী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পত্নী মাহফুজা খাতুনকে দেখতে আসেন। এদিন তিনি যশোরে ফিরে যাবার পথে কলারোয়া বাজারে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। তার গাড়িবহর লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। শেখ হাসিনা প্রানে রক্ষা পেলেও তার সফরসঙ্গীদের অনেকেই আহত হন। এসময় তার ব্যবহৃত গাড়ির স্ট্যান্ডও ভেঙে ফেলে সন্ত্রাসীরা। শেখ হাসিনার নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোঃ মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে তৎকালীন সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলা দফায় দফায় খারিজ হয়ে যাবার পর সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে পুনরুজ্জীবিত হয়। কলারোয়া থানা পুলিশ তদন্ত শেষে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়।