খুলনা জেলার কয়রায় তুচ্ছ ঘটনায় এক বৃদ্ধকে হাত পা বেধে পিটিয়ে ক্যামেরায় ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এক এনজিও কর্মী।
সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আব্দুল মোতালেব মিলনায়নে এক সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন খুলনার কয়রা উপজেলার ১ নং কয়রা (নলপাড়া) গ্রামের পীতম্বর মুন্ডার ছেলে এনজিও কর্মী শিবপদ মুন্ডা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই এলাকার মৃত রাধাপদ মুন্ডার ছেলে সুবোল মুন্ডা এবং রবীন্দ্রনাথ মুন্ডার ছেলে তাপস মুন্ডা গত ৫ নভেম্বর আমার বৃদ্ধ পিতাকে বাড়ি থেকে টেনে হিচড়ে বের করে এনে রশি দিয়ে হাত- পা বেধে বেদম মারপিট করে। হাত-পা বেধে মারপিট করা অবস্থা মোবাইলে ভিডিও ধারন করে ও ছবি তুলে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে ৬ নভেম্বর সকালে আমার দেড় মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রী শীলা রাণী তার বাবা’র বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আসে। ওইদিন বেলা ১২টার দিকে কোন প্রকার কথা কাটাকাটি ছাড়াই উল্লেখিত তাপস মুন্ডা আমার স্ত্রী গায়ের ওড়না কেড়ে নিয়ে তার চুল ধরে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক ফোলা জখম করে। এসময় আমার অন্তঃসত্বা স্ত্রীর পেটে ও বুকে লাথি মারে। এতে আমার স্ত্রী শীলা রাণীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। এঘটনায় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আমাদেরকে পুনরায় মারপিট ও খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে তাপস ও সুবোল মুন্ডা।
শিবপদ মুন্ডা আরো বলেন, আমার পিতাকে হাত-পা বেধে মারপিটের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তাপস ও সুবোল মুন্ডা ইন্টারনেট থেকে ভিডিওটি সরিয়ে নেয়। কিন্তু মারপিটের দৃশ্যের ছবি এখনো রয়ে গেছে। একজন বৃদ্ধকে এভাবে হাত ও পা বেধে মারপিট করার পর তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে গুরুতর অপরাধ করলেও বহাল
তবিয়তে রয়েছে তাপস মুন্ডা ও সুবোল মুন্ডা গংরা। তিনি উল্লেখিত তাপস মুন্ডা ও সুবোল মুন্ডাকে গ্রেপ্তারপূর্বক তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেইল থেকে প্রেরণকৃত।