পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উনীতকরণের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা কালেক্টরেট সহকারি সমিতি।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বারোন্দায় কালেক্টরেট সহকারিরা অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেছে তারা। এদিকে কর্মবিরতি থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সরকারি অফিসে সেবা নিতে আসা জনগণ।
সংগঠনটির সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি মাকসুদুর রহমান খান চৌধুরী সুজার সভপতিত্বে কর্মবিরতিতে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি জিন্নাতারা খান রুপালী, সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী সফিউল আজম, ক্রীড়া সম্পাদক শাহাদাতুল করিম বাপ্পী, সদস্য আব্দুল হান্নান, গোলাম মোস্তফা, রুহুল আমিন প্রমুখ।
জেলা কালেক্টরেট সহকারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুর রহমান জানান, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিস দায়িত্ব পালন করে থাকেন কালেক্টরেট সহকারিরা। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তারা পদোন্নতি না পেয়ে হতাশায় ভোগেন এবং কর্মেস্পহা হারিয়ে ফেলেন। ২০০১ সাল থেকে তারা আন্দোলন করে আসছেন। একই প্রশাসনের আওতাধীন রাজস্ব বিভাগ তহশীলদার ও সহকারি তহশীলদারদের পদ-পদবী পরিবর্তণসহ বেতন গ্রেড উন্নীত করা হয়েছে। তাছাড়া ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক, সমাজ সেবা, পুলিশ বিভাগ, পরিসংখ্যান, অডিট, কৃষি ও প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ ২১টি বিভাগের বা অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিদের পদবী ও গ্রেড পরিবর্তণ করে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ায় মাঠ প্রশাসনের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিদের পদ ও পদবী পরিবর্তণ অথবা সচিবালয়ের ন্যায় নিয়োগ বিধি প্রণয়নের যৌক্তিক ও ন্যয় সঙ্গত দাবি দীর্ঘদিন বাস্তবায়িত না হওয়ায় কর্মচারিদের মধ্যে চরম হতাশা ও অন্তোষ বিরাজ করছে। তাই কর্মেস্পহা ফিরিয়ে আনতে কালে ক্টরেট সহকারিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সহকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেয়া সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত দেশব্যাপী এ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে। ৫ ডিসেম্বর তারা কেন্দ্রীয় কর্মসুচিতে অংশ নেবেন।