অভিমানী কবি’কে-কবি শেখ মফিজুর রহমান
তোমার মুখের প্রাণোচ্ছল হাসি
আর বুকের মাঝের দুঃখের বীণা
আমাদের বিভ্রান্ত করেছে।
বুঝিনি, কী নিদারুণ অভিমান নিয়ে
কোন কিছুই না বলে চলে গেলে তুমি।
যুদ্ধের দামামা নাকি বা বাঁশের বাঁশরি
ঠিক কোনটা তুমি?
প্রেমিক পুরুষ নাকি রণবীর?
প্রেয়সীর চুলে তারার ফুল গুঁজে দিতে চাও
নাকি দামামা বাজিয়ে ভগবানের
কপালে এঁকে দিতে চাও পদচিহ্ন?
তোমার এতো রূপ, এতো প্রতিভা
এসবে আমরা ঠিক অভ্যস্ত না
কখনো শ্যামা সঙ্গীত, কখনো আরবের
পথ হতে চাওয়ার আকুতি জানানো
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা
স্বপ্ন বিলাসী চোখ দু’টোকে
ঠিক চিনতে পারি নি।
বড্ড অভিমান তাই তোমার
সুতীব্র অভিমানে কথাই বন্ধ করে দিলে!
তবুও ঐ বড় বড় চোখের ভাষাভরা দৃষ্টি
তোমার জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত
বলে গেছে – পরোয়া করি না!
পরোয়া তুমি করো নি
কিন্তু আজ, যখন সুস্থ সংস্কৃতি খুঁজে পাই না
তখন তোমাকে বলি – দুয়ারে দাঁড়াও
আমাদের মেরুদণ্ডহীন নত মস্তক দেখে
সাহস দিয়ে বলে উঠো-
বল বীর, বল উন্নত মম শির।
ভালোবাসার নামে বিপথগামী
যুব সমাজকে প্রেম শেখাতে
এগিয়ে আসো, প্রেমিককে বলতে শেখাও
“যতো দেখি ততো হায়
পিপাসা বাড়িয়া যায়”!
আহা, কী অমীয় প্রেমের বাণী!
তোমার “সঞ্চিতা”র সমুদ্রে ডুবে
পথের দিশা খুঁজি।
আমি জানি, তুমি
বলে উঠবেই – কান্ডারী হুঁশিয়ার।