সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন প্রভাষক সাঈদ-উজ জামান। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি ৫১ হাজার ৩৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা পরিষদে তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
উপজেলা আ’লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ-উজ জামান প্রতিদ্বন্দীর তুলনায় ১৯ হাজার ২৭৭ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রধান প্রতিদ্বদ্বী ছিলেন গোলাম মোস্তফা বাংলা পেয়েছেন ৩২ হাজার ৭৪ ভোট। এবারের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্বীতা করেন তিনজন। তারা সকলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত।
সাঈদ-উজ জামান ছাড়া অপর দুই প্রার্থী ছিলেন যথাক্রমে উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। এর আগে বুধবার সকাল থেকে উপজেলার ৯২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোর রাতে বৃষ্টি হওয়ায় সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বুধবার (০৮ মে’২৪) দুপুরের পর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার কেন্দ্রে পৌছে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়। উল্লেখ্য, একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত শ্যামনগর উপজেলায় মোট ভোটার ছিল দুই লাখ ৮৪ হাজার ৩২৬ ভোট।
এদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে নাজমুল হুদা রিপন এবং হাঁস প্রতীক নিয়ে খালেদা আইয়ুব ডলি বিজয়ী হয়েছেন। রিপনের প্রাপ্ত ভোট যথাক্রমে ১৯ হাজার ২১৩ ভোট। রিপন ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী এবং ডলি উপজেলা আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। সরেজমিন বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় সকালের দিকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার নুরনগর ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে দুই হাজার নয়শ পাঁচ ভোটের মধ্যে দুইশ ৭২ ভোট পড়ে। যা ছিল মোট ভোটের প্রায় ১০ শতাংশ। এছাড়া উপজেলার ১৫৬নং দক্ষিণ বংশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে জামাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তাকে ছেড়ে দেন। সরেজেমিন উপজেলার সবগুলো কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এসময় ৯২টি কেন্দ্রের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি। কেন্দ্রগুলোতে ভীড় না থাকায় ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দিতে দেখা যায়।