জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে টুঙ্গিপাড়ায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ মাদকমুক্ত স্মার্ট উপজেলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ -এ চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদ গাজী।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সিঙ্গিপাড়া বাজারের বিশাল নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য প্রদানের সময় আনারস প্রতীক নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গাজী মাসুদুল হক একথা বলেন। মাসুদ রানা ছেলেবেলা থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন। তিনি নিজেই নিকোটিন মুক্ত। কোনো ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য তাকে গ্রাস বা স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি উপজেলার তরুণ সমাজকে সর্বদা বিপথে যাওয়ার পথ থেকে সরিয়ে রাখার জন্য খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করে রেখেছেন। তিনি নিজেই একজন সফল খেলোয়াড়। সু-শিক্ষিত গাজী পরিবারের মাসুদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় সমগ্র উপজেলার তরুণ ও যুবসমাজের ব্যাপক সারা মিলেছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার যুব সমাজের অহংকার সে। নির্বাচনী জনসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, টুঙ্গিপাড়া শেখ পরিবারের অন্যতম সদস্য শেখ টবা, ঐতিহ্যবাহী মোল্লা বংশের মুরুব্বি জাহাঙ্গীর হোসেন, গিমাডাঙ্গা গাজী বাড়ির বিশিষ্ট মুরুব্বি হান্নান গাজী, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর বিশ্বাস, শ্রীরামকান্দি এলাকার প্রভাবশালী প্রয়াত রাজনীতিবিদ শেখ লুৎফর রহমানের উত্তরসূরি ফয়সাল শেখ, এ্যাডভোকেট বাদশা বুলবুল ও ছানা মাস্টার সহ আরো অনেকে।
জনসভায় টুঙ্গিপাড়ার শান্তিপ্রিয় উপজেলাবাসী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সকলকে হাতে হাত ধরে কাজ করার শপথ নিয়ে গাজী মাসুদকে আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে মাঠে নেমেছেন।
অপরদিকে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মোঃ বাবুল শেখের সমর্থকেরা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম আগের মতই চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী দক্ষিন পাড়া গ্রামে মাসুদ গাজীর নির্বাচনী প্রচারনার অফিস ভাঙচুর, ভয়ভীতি প্রদর্শন, পোস্টার ছেড়া সহ হুমকী প্রদর্শনের অভিযোগ এসেছে মোঃ বাবুল শেখের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট প্রমাণও তার সমর্থদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়জুল মোল্লার নিকট অভিযোগ করেও কোন সুবিধা পাননি বলে জানান অভিযোগকারীরা। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।