প্রশান্তির খোঁজে!!
প্রতিটি মানুষ’ই প্রশান্তির খোঁজে দেশান্তরিত হয়-
কিন্তু তারা উপার্জন করে চাহিদার ধোঁয়া!
সুখটা হয় তখন পৌরাণিক গল্পের,
ছেড়া পাতার প্রোলেপ মাত্র!!
আমরা প্রায়শই সুখ কিনতে গিয়ে, মানুষ কিনে আনি।মস্তিষ্কের সবটুকু ঘোলা জল বা –
হৃদপিন্ড নিড়ানো যত রক্ত স্রোত;
সব উজাড় করে দেয় সেই -মানুষ
শব্দে আবদ্ধ থাকতে চাওয়ার প্রত্যাশায়।প্রশান্তির খোঁজে আমি বহুবার —
সমুদ্র পাড়ি দেবার কথা ভাবি!
জল ঠিক ততোবার ঢেউয়ে
আচড়ে তীরে ফিরেয়ে দেয়;
গায়ে লেগে থাকে বিষাক্ত
জেলিফিশ আর লবণ ফেলা,
মাছের কাটা আমার গলায় আটকে।আমি প্রশান্তির খোঁজে বহুবার —
যায় তারকাটার কাছে;
শরীর ফুটো হয়ে সৃষ্টি হয় জলোচ্ছ্বা!!
ভেসে ফিরে এসেছি ঘাটে।প্রশান্তির খোঁজে আমি বহুবার —
বাতাসের দ্বারে দাড়ায় পায়ের নিচে সিলিকন;
প্রবল বেগে আমায় উঠিয়ে দেয়
যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপে ক্ষুদার্ত কাকের মতো।আমি প্রতিবার প্রশান্তির কাছে ফিরে যাবার –
আকুল নিবেদন করি, খেয়া ঘাটে নৌকা ডুবি ঘটে!
পার করবার জন্য একটি হাতও আসেনা;
রাত আরো গাঢ়হ নিদ্রাহীন নিস্তব্ধ হতে থাকে।বসন্ত হেটে পার হয় আমার চোখ-
পলাশ কিংবা শিমুলে ধর্ষিত অস্তিত্বের ভারে;
নুয়ে থাকি পাঁজর ভাঙা শব্দ সমেত!
কৃষ্ণচুড়া খুব কাছে এসে —
রঙ ছেড়ে ধূসর করে ঘাসফুল।আমি প্রশান্তির খোঁজে আজ’ও সেই
ঘাসফুলের বুকে কক্ষপথ হীন হয়ে পড়ে থাকি;
তুমি ফিরবে হয়তো, আমিও খুঁজে পাবো —
আত্মার গায়ে আত্মা-প্রশান্তি।।