সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়নে জয়াখালী গ্রামে মেসার্স সমশের চিংড়ি প্রকল্প” মৎস্য ঘেরটি লুটপাট ও ঘেরের বাসা ভাঙচুর সহ নানাবিধ ক্ষয়ক্ষতি করা অভিযোগে মামলা হয়েছে। শ্যামনগর থানায় মামলা নং ৩৩। মামলাটি দায়ের করেন- কাশিমাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসাযী হাজী শমসের ঢালী।
তিনি অভিযোগে জানান- জয়াখালী গ্রামে মৃত সাবেক মেম্বার আব্দুল বারী গাজীর বাড়ির সংলগ্ন দীর্ঘদিনের শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলীয়কার ডিউকৃত ১৫০ বিঘা জমির মৎস্য ঘের টি সম্প্রতী দফায় দফায় লুটপাট ও ঘেরের বাসা ভাঙচুর সহ নানাবিধ ক্ষয়ক্ষতি করা হযেছে। গত ২০০১ সাল থেকে হাজী শমসের ঢালী জযাখালী গ্রামে ১৫০ বিঘা জমি ঐ এলাকার স্থানীয জনসাধারণের নিকট থেকে বৈধভাবে মৎস্য চাষাবাদের নিমিত্তে ডিড নেন এবং শ্যামনগর মৎস্য অফিস থেকে অনুমোদন নিযে মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসছেন। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসারের স্বাক্ষরিত চিংড়ি প্রকল্পের রেজিষ্টেশন নং ০৮৮০৪৭১০৭০৫০৭৬০০৬১, স্বারক নং শ্যামনগর/ ২০২৪.৬১, তাং ৫।৩।২০২৪। জয়াখালি গ্রামে একদল স্বার্থন্বেষী মহল লাভ ও লোভের বসবর্তী হয়ে হাজী শমসের ঢালীর নিকট থেকে অতিরিক্ত স্বার্থ ও উৎকোচ দাবিতে ব্যর্থ হলে ষড়যন্ত্রের ফলে তার চলমান মৎস্য ঘেরের ভেড়ি বাঁধ, ঘেরের বাসা, ঘেরের গই, কল, পাটা, পানি উঠানো পাইপ সহ নানাবিধ স্থানে ভাঙচুর ক্ষযক্ষতি লুটপাট করে আনুমানিক প্রায় ৮ লক্ষ টাকার সম্পদ লুটপাট ক্ষযক্ষতি ধ্বংস ও আত্মসাৎ অভিযোগ উঠে। এ অভিযোগে ২৭ জনের নামে এবং অজ্ঞাত নামা ১৮/২০ জনের নামে মামলা হয়েছে। হাজী শমসের আলী ঢালী আরো জানান, এ মামলা করায় তাকে এবং তার পুত্র আলমগীরকে লাঞ্চিত বা মিথ্যা মামলা হামলা সহ স্থানীয নারী দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, আসামীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
সীমাহীন অত্যাচারে ও ষড়যন্ত্রে হাজী শমসের ঢালী এখন দিশেহারা। এ ব্যাপারে যথাযথ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।