বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভারতে রবীন্দ্র জন্মোৎসবের উদ্বোধন করলেন সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনজনই নতুন মুখ নির্বাচিত কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ডিসি ও এসপি’র ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন তালায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মশিয়ারের চিংড়ি মাছ প্রতীকের গণসংযোগ দেবহাটার নওয়াপাড়ায় ইউনিয়ন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা দেবহাটায় কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা বিষয়ক ক্যাম্পেইন   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান-কবিতা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যুগিয়েছিল-মমিনুর রহমান মুকুল তালায় ধানদিয়ায় কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ তালায় ধানদিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলামের জনসভায় লোকে-লোকারণ্য গোপালগঞ্জে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮জন প্রার্থী চূড়ান্ত, সাতক্ষীরায় মনোনয়ন পেলেন লায়লা পারভীন সেঁজুতি

✍️এস এম শহিদুল ইসলাম📝জেষ্ঠ প্রতিবেদক☑️
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮জন প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে সাতক্ষীরা থেকে মনোনীত হয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক, দৈনিক পত্রদূতের সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স ম আলাউদ্দীন তনয়া লায়লা পারভীন সেঁজুতি।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৫৪৯ জনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর চূড়ান্ত করা হয় ৪৮জনকে। বিকেলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত হওয়া ৪৮জন নারী প্রার্থীর নাম পড়ে শোনান।

মনোনীতরা হলেন-টাঙ্গাইল থেকে তারানা হালিম, ঢাকা থেকে সানজিদা খানম, শবনম জাহান, পারুল আক্তার, নাহিদ ও শেখ আনারকলি পুতুল, বরিশাল থেকে শাম্মী আহমেদ ও ফজিলাতুন্নেছা, জয়পুরহাট থেকে ডা. রোকেয়া সুলতানা ও মলি, চঁাপাই থেকে জেবিন মাহমুদ, ঠাকুরগাঁও থেকে দৌপদী বেবি আগরওয়াল, নাটোর থেকে কোহেলি কুদ্দুস, পঞ্চগড় থেকে রেজিয়া ইসলাম, নীলফামারী থেকে আশিকা সুলতানা, নেত্রকোনা থেকে নাদিয়া বিনতে আমিন, নোয়াখালী থেকে কানন আরা বেগম ও ফারিয়া খানম, লক্ষ্মীপুর থেকে ফরিদুজ্জামান লাইলী ও অনিমা, গাজীপুর থেকে মেহের আফরোজ চুমকি, বাগেরহাট থেকে ফরিদা আক্তার, খুলনা থেকে মুন্নুজান সুফিয়ান, রুনু রেজা ও খালেদা রথী, চট্টগ্রাম থেকে দিলারা ইউসুফ, ওয়াশিকা সিদ্দিক আয়েশা ও শামীমা হারুন, ভোলা থেকে বিউটি, বরগুনা থেকে ফারজানা সুমি, পটুয়াখালী থেকে নাজনীন নাহার, ঝালকাঠি থেকে ফরিদা আক্তার বানু, নরসিংদী থেকে ফরিদা ইয়াসমীন ও মাসুদা সিদ্দীকি, কুমিল্লা থেকে অ্যারেমা দত্ত, খাগড়াছড়ি থেকে ডরোথী, ময়মনসিংহ থেকে উম্মে ফারজানা সাত্তার, গোপালগঞ্জ থেকে বেদুরা আহমেদ সালাম, ঝিনাইদহ থেকে কল্পনা আক্তার, সাতক্ষীরা থেকে লায়লা পারভীন সেঁজুতি, রংপুর থেকে নাসিমা জামান ববি।

এদিকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স ম আলাউদ্দীনের কন্যা লায়লা পারভীন সেঁজুতিকে এমপি হিসেবে মনোনয়ন ঘোষণা করায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বুধবার সন্ধ্যায় পাটকেলঘাটায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। মিছিলটি পার্টকেলঘাটা বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পাটকেলঘাটায় পঁাচরাস্তা মোড়ে শেষ হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, নগরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি স ম আক্তারুল আলম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস আতিয়ার রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজউদ্দীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মধু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক বিশ্বাস আনোয়ার হোসেন, মফিদুল ইসলাম, সাংবাদিক মুজিবর রহমান, আবু হোসেন, শেখ তরিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসানসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

এদিকে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক এবং দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি সংরক্ষিত আসনের এমপি মনোনয়ন পাওয়ায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। সংরক্ষিত আসনের এমপি মনোনয়নপ্রাপ্ত লায়লা পারভীন সেঁজুতিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি গোলাম রসুল রাসেল, সহ-সভাপতি আনারুল ইসলাম রনি, আব্দুস সামাদ, আদিত্য মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম হোসেন, আলমগীর হোসেন, ইউসুফ আলী সরদার, শেখ মিজানুর রহমান, শেখ রিয়াজুল ইসলাম, শাহানারা খাতুন রিনা, শাহাজান আলী ছোট বাবু প্রমূখ।

এদিকে সংরক্ষিত আসনের এমপি মনোনয়নপ্রাপ্ত লায়লা পারভীন সেঁজুতিকে অনুরূপভাবে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলী, সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, আদিত্য মল্লিক, শেখ শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, শাহাজান আলী ছোট বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান বদু, জিএম রেজাউল করিম রেজা প্রমূখ।

অনুরূপভাবে সংরক্ষিত আসনের এমপি মনোনয়নপ্রাপ্ত লায়লা পারভীন সেঁজুতিকে অনুরূপভাবে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা শহরতলীর কদমতলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি সেলিম হোসেন, সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিএম রেজাউল করিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক প্রভাষক ডা: ইকরামুল কবির, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সোহরাব হোসেন প্রমূখ।

১৯৯৬ সালের ১৯ জুন সাতক্ষীরা শহরে নিজের পত্রিকা অফিসে গুলি করে হত্যা করা হয় সেঁজুতির পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা স ম আলাউদ্দীনকে। সেই সময় হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে সাতক্ষীরায় ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে উঠে। অগাধ কালোটাকার মালিক হত্যা মামলার আসামীদের নানামুখি ষড়যন্ত্র স ম আলাউদ্দীন পরিবারকে কোণঠাসা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। একমাত্র শিশুপুত্রসহ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সাত সন্তাকে নিয়ে স ম আলাউদ্দীনের বিধবা স্ত্রী দিশেহারা প্রায়। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের সকল দায়িত্ব নিজের কঁাধে তুলে নেন সেঝো সন্তান লায়লা পারভীন সেঁজুতি। কলেজ পড়ুয়া সেঁজুতি পিতার শিল্প কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু বন্ধ করে দিলেও বন্ধ হতে দেননি বাবার হাতে গড়া ‘বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি’। বর্তমানে তিনি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

ইতোমধ্যে ভাই-বোনরা লেখাপড়া শেষে নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রতিটি পর্যায়ে অভিভাবকের দায়িত্বে ছিলেন লায়লা পারভীন সেঁজুতি। পারিবারিক নানা সংকটের মধ্যেও ছাত্র জীবনে বাবার দেখানো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সক্রিয় ছিলেন। ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নিয়ে সক্রিয় হন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। দায়িত্ব পালন করছেন সাতক্ষীরা জেলা আওযামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে। একই সাথে তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি দৈনিক পত্রদূত-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, জেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সহ-সভাপতি, জেলা সম্প্রীতি বাংলাদেশের যুগ্ম-সম্পাদক, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অসংখ্য সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন লায়লা পারভীন সেঁজুতি। এর আগে দক্ষতার সাথে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, তালার নগরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

লায়লা পারভীন সেঁজুতি রাজনীতি ও নানান সামাজিক কর্মকান্ড এবং নিজের পেশাগত জায়গায় যেমন দক্ষতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় রেখে চলেছেন। একইভাবে ব্যক্তিগতজীবনে তিনি অত্যন্ত পারদর্শী একজন মানুষ। জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদকে। আবুল কালাম আজাদ আশির দশক থেকে সাতক্ষীরার মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা ও স্বৈরাচার বিবোধী আন্দোলদের অন্যতম নেতা, সাতক্ষীরায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি, গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ইস্যুতে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদানকারী পরিচিতমূখ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচিত সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দুই সন্তানের মধ্যে একমাত্র কন্যা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং একমাত্র পুত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

সেঁজুতির পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দীন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে যশোর-খুলনাঞ্চলের যুদ্ধরতদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহে বিএসএফ-এর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের জেওসি মেজর জেনারেল আরুণ মুখার্জীর সাথে চুক্তি করেন তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য।

বিহারের চাকুলিয়ায় সপ্তাহের ট্রেনিং দিয়ে নির্বাচিত এমপি হয়েও কমিশন্ড অফিসার হিসেবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

কিছুদিন ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনের পর ক্যাপ্টেন সাইফুল্লাহ ছদ্মনামে ৮নং সেক্টরের অধীনে দেশে প্রবেশ করে পাকবাহিনী এবং বাজাকারদের বিরুদ্ধে ছোট-বড় অসংখ্য যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। যুদ্ধক্ষেত্রে অসংখ্যবার মৃত্যুর খুব কাছ থেকে জীবনে বেঁচে ফিরেছিলেন। এ সময় পকিস্তানি সামরিক আদালত স ম আলাউদ্দীনের অনুপস্থিতিতে বিচার করে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড, সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের এই বীর তরুণ সেনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর কয়েক দফা গ্রেপ্তার হন। তিনি ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন ও ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং জেলায় বিধ্বস্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করে স্বাধীনতায় পরাজিত শক্তির উত্থান রোধে ব্যাপক সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, একই বছর জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ও তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান। এ সময় মৌলবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জেলার ব্যবসা বাণিজ্যে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা, ভোমরা স্থল বন্দর প্রতিষ্ঠাসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দলের অর্থের সংস্থানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিল্প কলকারখানা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন স ম আলাউদ্দীন। ওই কর্মকাণ্ডে দলের পাশাপাশি তিনি ব্যতিগতভাবে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।

১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষর করা একটি চিঠি পেয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সবে দঁাড়ান এবং দলের প্রবীণ নেতা সৈয়দ কামাল বখত-এর পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু পত্রিকা অফিসে ফ্যাক্সে আসা চিঠিতে দল ক্ষমতায় গেলে তাকে মূল্যায়ন করা হবে-উল্লেখ থাকার বিষয়টি জানাজানি হলে, দ্রুত প্রচার হয় স ম আলাউদ্দীনকে টেকনোক্রাফট কোটায় মন্ত্রী হচ্ছেন। আর এটিই সম্ভবত তার জন্য কাল হযে দঁাড়ায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি দোসরদের থেকে রক্ষা পেলেও আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পূর্বেই ১৯ জুন রাতে সাতক্ষীরায় তারই প্রতিষ্ঠিত দৈনিক পত্রদূত অফিসে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দীনের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে চান তারই সেঝো সন্তান সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি। আর সেজন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিনি।

তিনি বলেন, দল টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। ২০১৩ সালে এদেশের প্রতিক্রিয়াশীল স্বাধীনতা বিরোধীরা সন্ত্রাস নাশকতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ১৬জন নেতাকর্মীকে নৃশংস হত্যা করে। এরপর প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে দৃশ্যত তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। তবে তারা ধর্মের নামে আওয়ামী লীগের সহজ সরল সাধারণ কর্মী সম্র্পকদের ঘরে ঢুকে নারীদের মধ্যে ভোট ব্যাংক তৈরীর অপচেষ্টা চালাছে।

নারী নেত্রী সেঁজুতি বলেন, আওয়ামী লীগের নারী কর্মীরাও বসে নেই। নানাভাবে কাজ করে চলেছি। তবে এইসব সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমূলে বিনষ্ট করার জন্য নারীদের নেতৃত্ব পর্যায়ে শক্তিশালী অবস্থান খুব জরুরি। তবে যেখানে যেভাবেই থাকেন না কেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মসূচি বাস্তবায়নের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০২ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
  • ১৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৩৩ অপরাহ্ণ
  • ১৯:৫৩ অপরাহ্ণ
  • ৫:২১ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!