সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক বিশিষ্ট সাহিত্যিক ডা. গাজী নাসির উদ্দীনের উপন্যাস ‘স্বপ্নভগ্ন’ পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলায়।
বইটির প্রকাশক: শব্দ শিল্প, মগবাজার, ঢাকা। বইমেলায় স্টল নং ৮৯, ৯০ ও ৯১।২০২৪ সালে অমর ২১ বইমেলায় প্রকাশিত হলো ডা. গাজী নাসির উদ্দীনের দ্বিতীয় লেখা। এদিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ-হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তাবৃন্দ ডা. গাজী নাসির উদ্দীনের উপন্যাসটি সাতক্ষীরা মেডিকেল ক্যাম্পাসে মোড়ক উন্মোচন করেছেন।ডা: মো: নাসির উদ্দিন গাজীর বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার টিকেট গ্রামে। তার পিতার নাম মাওলা বক্স গাজী এবং মাতার নাম আশুরা খাতুন। মাতা পেশায় গৃহিণী। পিতা পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন এবং তিনি বিগত ২০২১ সালের ১০ জুলাই করোনা মহামারিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে ডা: মো: নাসির উদ্দিন গাজী দ্বিতীয়। তাঁর বড় ভাই একজন শিক্ষক। এছাড়া অন্যান্য ভাই ও বোনের সবাই ব্যক্তি জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। ডা: মো: নাসির উদ্দিন গাজী ১৯৮০ সনের ২২ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার টিকেট গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালে টিকেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, ১৯৯৫ গাভা এ.কে.এম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা, ১৯৯৭ সনে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ২০০৪ সনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্থ রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ফরেনসিক মেডিসিন বিষয়ে ২০১৪ সালে ডি.এফ.এম ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ইন্ডিয়ান হেলথ্ সায়েন্স ইউনিভার্সিটি থেকে ফিজিক্যাল থেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন এর উপর মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন বারডেম থেকে ডায়াবেটোলজিতে সিসিডি, ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের ব্যবস্থাপনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এ্যানেসথেসিওলোজী বিষয়ে ইওসি কোর্স, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সিন্সিনাটি থেকে মাস্টার্স ইন ফ্যামিলি মেডিসিন-অনলাইন কোর্স, এপোলো হাসপাতাল চেন্নাই থেকে নিউরোলজিকাল রিহ্যাবিলিটেশন বিষয়ে ফেলোশিপসহ অনেক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তিনি ২৭-১১-২০০৮ তারিখ ২৭তম বি.সি.এস (স্বাস্থ্য ক্যাডার) এর মাধ্যমের সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। ১২ জুলাই ২০০৫ সালে রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রামের আব্দুল আজিজ চৌধুরীর কনিষ্ঠ কন্য জাকিয়া সুলতানা রুমির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। জাকিয়া সুলতানা রুমি নয়-ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। তাঁর বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। অন্যান্য ভাইবোনের সবাই ব্যক্তি জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। গাজী নাহিদ সুলতান বাবু ও যায়রা ওয়াসেনাত নায়যা তাঁদের সন্তান। বাবু সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র এবং নায়যার বয়স মাত্র ২বছর ১০মাস। ডা: মো: নাসির উদ্দিন গাজী বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি ছাত্র হলসুপার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কমিটির সেক্রেটারি এবং টিচার্স এসোসিয়েশনের সাংস্কৃতিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডা: মো: নাসির উদ্দিন গাজী ছোট বেলা থেকেই ক্রীড়া ও সাহিত্যে চর্চায় বিশেষ করে ছন্দ কবিতা, নাটক ও ছোট গল্প রচনাসহ ফুটবল, ক্রিকেট, হাডুডু, টেবিল টেনিস ইত্যাদিতে স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য জেলা প্রশাসক গোল্ড মেডেল পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও স্কুল ও কলেজ জীবনে আবৃত্তি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও উপস্থিত বক্তৃতায় একাধিক বার পুরস্কৃত হয়েছেন।তাঁর সাদাসিধে ব্যক্তিগত জীবনের দীর্ঘ পথের সাথী স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা রুমি, চট্টগ্রামের মেয়ে। তিনি একজন আদর্শ গৃহিনী। এসএসসি, এইচএসসি অনার্স-মাস্টার্সসহ সমগ্র পড়াশুনা চট্টগ্রামেই সম্পন্ন করেছেন। স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা রুমি সাথে থেকে লেখককে কর্ম প্রেরণা, উৎসাহ ও সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন সব সময়। এছাড়া জাকিয়া সুলতানা একজন ভালো শিল্পী। বিভিন্ন শিল্পীর গান তার কন্ঠে বারবার শুনতে ইচ্ছে হবে। ডা: মো: নাসির উদ্দিন গাজী ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সাধারণ খোলামেলা একজন চিকিৎসক। তিনি নিজ এলাকার মানুষকে দীর্ঘ দিন হতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ‘স্বপ্ন ভঙ্গ’ উপন্যাসটি লেখকের প্রকাশিত দ্বিতীয় লেখা। এর আগে লেখক ‘কবিতার ’ নামক প্রথম কবিতার বই প্রকাশ করেছেন। সেই সময় কবিতার বইটি পাঠক সমাজে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।