সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খলিসা গ্রামের দু’ শিশু সন্তানসহ তাদের বাবা ও মাকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার খলিসা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, একই গ্রামের কাশেম ঢালীর ছেলে পুলিশের সোর্স আব্দুল মালেক ও ধানঘরা গ্রামের সামছুদ্দিনর ছেলে আসাদুল ইসলাম।
খলিষা গ্রামের আব্দুস সামাদ জানান, ১৫ অক্টোবর বৃহষ্পতিবার ভোর রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়ার খলসি গ্রামছ মাছ ব্যবসায়ী শাহিনুল ইসলামসহ পরিবারের ৪ সদস্যকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
রাতে শাহিনুরের শ্বাশুড়ি ময়না খাতুন বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলামকে। হত্যার দিনেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় নিহতের ছোটভাই রায়হানুল, আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, সামছুদ্দিন সরদারের ছেলে আসাদুলকে। পরের দিন রায়হানুলকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ছেড়ে দেওয়া হয় রাজ্জাক ও আসাদুলকে। সোমবার রায়হানুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি অফিসে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরো জানান, রবিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে সিআইডি ডেকে নিয়ে যায় রাজ্জাক ও আসাদুলকে। সোমবার আনিছুর ও মালেককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সিআইডি। সোমবার ঢাকা রেঞ্জের সিআইডি’র অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক ওমর ফারক ঘটনাস্থল পরিদর্শণ শেষে স্থানীয় ও নিহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলেন। মঙ্গলবারও তিনি ঘটনাস্থলে আসন। মঙ্গলবার বিকালে তিনি জানতে পারেন যে রাজ্জাক, আসাদুল ও আব্দুল মালেককে শাহীনুরসহ চারজনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
কলারোয়া আদালতের পুলিশ উপপরিদর্শক কায়েস মাহমুদ জানান, আসামীদের আদালতে পাঠানোর প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয় যে, রিমান্ড নেওয়া রায়হানুল হকের জবানবন্দি অনুযায়ি ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার আদালতে রিমান্ড আবেদন জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিআইডি’র সাতক্ষীরার বিশষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন জানানো হবে। তবে সোমবার আটককৃত হায়দার আলীর ছেলে আনিছুর রহমানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।