বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। দেশে নদী ও মানুষের জীবন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। নদী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার পালন করা হয়ে থাকে বিশ্ব নদী দিবস।
জনজীবনে নৌপথের সম্পৃক্ততা বাড়াতেই এ প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। নদী রক্ষায় অনেক দেশে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। ভোলা জেলার মানুষ মেঘনা নদীর সঙ্গে বাঁচার লড়াই করে জীবন অতিবাহিত করছে। মেঘনা নদী যেন এই মানুষের একমাত্র সুখ-দুঃখের সঙ্গী। মেঘনা নদীর করাল গ্রাস আর জলরাশির থাবাই ভোলার মানুষের একমাত্র পরম বন্ধু। এমন কথাই বললেন নদীকূলে সুখে দুঃখে বসবাসকারী একাধিক পরিবার। মেঘনা পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, বর্ষা মৌসুমে মেঘনার ঢল আর প্রবল বাতাসের সঙ্গে ঘোষিত- অঘোষিত যুদ্ধে লিপ্ত থেকেই বর্ষাকাল পার করি আমরা। ভাঙনে অতিষ্ট মেঘনা পাড়ের অনেকটা সম্বলহীন অসহায় মানুষ। মেঘনার স্রোত ও পানি বৃদ্ধির কারণে ভোলার বিভিন্ন অঞ্চলে বেপরোয়া ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভোলার মানচিত্র থেকে মুছে গেছে শতশত গ্রামের হাজার হাজার পরিবারের ভিটেমাটি।