আজ আমি তােমাকে নিয়ে লিখবাে
জানি তুমি অবাক হবে , ভাববে
এতােদিন লিখিনি কেন ?
কারণ তেমন কিছুই না আসলে
আমি তােমাকে কখনাে আলাদা ভাবিনি।
আমার হৃদয় বীণার একটা তার তুমি
তাই তােমার কথা না লিখলেও
তােমার অস্তিত্ব আমাতে সদা বিরাজমান।
আমি তােমাকে আমার অন্দর মহলের
বন্দিনী ভাবিনি কখনাে।
বরং আমার হৃদয় নন্দিনী ভেবেছি ,
প্রাণের দোসর মনে করেছি ,
জীবন সংগীনি করেছি।
জীবনের চলার পথে , প্রতিটি বাঁকে বাঁকে
নানারকম প্রতিকূলতা , অনিশ্চয়তার দোলা
এই বন্ধুর পথে বন্ধু ভেবে তােমার হাত ধরেছি।
তােমাকে আমি শুধু মানবী ভেবে
শত রকম গহনার শৃংখলে আবদ্ধ করতে চাইনি
বরং মানুষ ভেবে পথ চলার সংগিনী করতে চেয়েছি।
দিতে হয়তাে পারিনি তেমন কিছুই , কিন্তু
ভালােবাসা ? সেটা যদি অমূল্য হয়
তবে যা দিয়েছি তার তুলনা এই মাটির পৃথিবীতে নেই।
সত্য বলতে কি ,
আমি তােমাকে বধূ হিসেবে নয়
আমার বন্ধু হিসেবে চেয়েছি
চেয়েছি জীবনের এই সংকটে-সংগ্রামে
বিপদে-সম্পদে
তুমি আমার পাশে থাকো , কাছে থাকো।
মােমের পুতুল হিসেবে নয়
সুন্দর মনের মানবী হিসেবে।
হয়তাে কষ্টের উত্তাপে পুড়িয়েছি বারবার।
কিন্তু সহধর্মিণী ! সােনা পুড়েই তাে খাঁটি হয় !!
সমান ধর্ম ধারণ করলেই কিন্তু
সহধর্মিণী হওয়া যায় , কবুল উচ্চারণে নয়।
আমার জীবনে যা কিছু অর্জন
তার সব সাফল্য ছুঁয়ে যাক তােমাকে
আমার কষ্টে তুমি কতুটুকু বিবর্ণ হলে
তার চেয়ে আমি বেশী দেখি
কতটুকু নিরাপদে, নিশ্চিন্তে আছাে তুমি।
আমার ভালােবাসা কতটুকু অনুভব
করাে তা আমি জানি না ,
শুধু জেনে রেখাে, তােমার মুখে
সামান্য মলিনতা আমার সব সুখকে
নিমিষেই সর্বোচ্চ অসুখে পরিণত করে।
তােমার এতােটুকু অস্বস্তি
আমার সব শান্তি নিশ্চিহ্ন করে দেয়।
তােমার আমার বন্ধন ছুঁয়ে যাক
পৃথিবীর সকল হৃদয়ের ভালােবাসায়।
আদম হাওয়ার মত ঋদ্ধ হই
সকল মানবের শুভ কামনায়।
লেখক : সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, সাতক্ষীরা।