গাজীপুরের শিমুলতলী এলাকায় এক কলেজছাত্রী (১৮) পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জিএমপির সদর থানায় মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর এবং ময়মনসিংহ থেকে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক ফিরোজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হচ্ছে, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকার আবুল কালামের ছেলে মাসুদ রানা (২৫) ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার গলগণ্ডা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মো. আনন্দ (২২)। গ্রেফতারকৃতরা গাজীপুর মহানগরের শিমুলতলী চতরবাজার এলাকায় বসবাস করে গাড়ি চালাত। অভিযুক্ত গাজীপুর মহানগরের চতরবাজার এলাকার নয়ন মিয়ার ছেলে নাঈম (১৯) পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ি জামালপুরে। পরিবারের সাথে ওই কলেজ ছাত্রী গাজীপুর জেলা শহরে বসবাস করে স্থানীয় একটি কলেজে প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করেন। অভিযুক্ত নাঈম তার সহপাঠী এবং ৮/৯ মাস যাবৎ পরিচিত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নাঈম ওই ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে চতরবাজার বটতলা যেতে বলে। ওই কলেজছাত্রী সেখানে গিয়ে নাঈম, আনন্দ ও রানাকে দেখতে পায়। কিছুক্ষণ পরে আনন্দ ও রানা সেখান থেকে চলে যায়। পরে নাঈম তাকে নিয়ে একটি অটোরিকশা করে শিমুলতলী এলাকায় যায় ।সেখান থেকে ওই এলাকার একটি হাফ বিল্ডিং ঘরে নিয়ে যায়। পরে তারা তিন জনে জোড়পুর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে নাইম তাকে অটোস্ট্যান্ডে নিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। রাস্তার পাশে বসে কান্নাকাটি করতে থাকলে আশপাশের লোকজন বিষয়টি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান। পরে কাউন্সিলর থানায় খবর দিলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জিএমপির সদর থানায় মামলা করেছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি নাঈমকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।