সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ মাহাফিজুল ইসলাম নামের এক নির্মাণ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে তাকে সাতক্ষীরার দেবহাটার কুলিয়া দুর্গাপুর গ্রামের তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মাহাফিজুল ইসলাম (৩০) সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া দুর্গাপুর গ্রামের মনা মোল্লার ছেলে।
কালিগঞ্জ থানার মথুরশপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামের এক মৎস্যজীবী জানান, খুলনার লবনচোরা এলাকায় তারা বসবাস করতেন। ১০ বছর আগে শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি মারা যাওয়ার পর স্বপরিবারে তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তার মেয়ে উপজেলা সদরের একটি মাধ্যমিক স্তর বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে।
ধর্ষিতার ফুফাতো বোন সাতক্ষীরা পৌর মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জানান, তার মামার বাড়ির পাশে উপজেলার কুলিয়া দুর্গাপুর গ্রামের মাহাফিজুল ইসলাম নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের বোন ও খালার বাড়ি। মাহাফিজুল ইসলাম মাঝে মাঝে বোন ও খালার বাড়িতে এসে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো। এর সুবাদে মাগফিজুল তার এক বন্ধুকে দিয়ে তার মামাতো বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ছয় মাস আগে কৌশলে খালার বাড়ির পাশে বাঁশবাগানে ডেকে নিয়ে মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মাহাফিজুল। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে খুন করার হুমকি দেয়া হয়। এভাবে গত ছয় মাস ধরে মাহফিজুল তার মামাতো বোনকে ভয় দেখিয়ে খালার বাড়িতে ও নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার সূযোগছ মামার বাড়িতে কয়েক বার ধর্ষণ করায় সে অঃস্বত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে মামা মাহফিজুলের বোন ও খালাকে অবহিত করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাহফিজুল মামাতো বোনকে বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ কিনে দেয়। বিয়ের কথা বলা হলে বাবা ও মাকে না জানিয়ে মাহফিজুল কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে বিয়ে করতে আসলে। আপত্তি করায় মাহফিজুল মামী ও মামাতো ছোট ভাইকে মারপিট করে। একপর্যায়ে মামা সোমবার রাতে মামা মাহফিজুলকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইন একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে মাহফিজুলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত মাহফিজুল বলেন, তার সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি উভয় পরিবারের সদস্যরা জানতো। মেয়েটির বয়স কম হওয়ায় বিয়ে নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হুসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষিতা ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মাহাফিজুলকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।