উল্লেখ্য, ১নং PAJERO জীপ গাড়ী হতে পাঁচটি বড় প্লাষ্টিক বস্তার ভিতর রক্ষিত অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পলিথিনে স্কচ টেপ দ্বারা মোড়ানো ছোট বড় ৪০ (চল্লিশ)টি পোটলায় মোট ওজন ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) কেজি, ২নং হায়েস টয়োটা মাইক্রোবাস গাড়ী হতে তিনটি প্লাষ্টিক বড় বস্তার ভিতর রক্ষিত অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পলিথিনে স্কচ টেপ দ্বারা মোড়ানো ছোট বড় ১৫ (পনেরো) টি পোটলায় মোট ওজন ৯০ (নব্বই) কেজি।
সর্বমোট গাঁজা ১৫০+৯০=২৪০ (দুইশত চল্লিশ) কেজি। একটি PAJERO জীপ গাড়ী যার রেজিঃ নং (ঢাকা-মেট্রো ঘ ১১-৯০৯০), ইঞ্জিন নং- 6672EXTX244 চেসিস নং-V5M314636 ও একটি হায়েস টয়োটা মাইক্রোবাস যার রেজিঃ নং (ঢাকা-মেট্রো চ ১৯-৩৮৩৭), চেসিস নং– KDH201-0089551, ইঞ্জিন নং-1KD-2166575 এবং চাবি ০১(এক) টি, বাটন মোবাইল সেট ০৩ (তিন)টি-ক) SMILE মোবাইল সেট যার মডেল নং-M100, সিম নং-০১৭১.… মোবাইল সেট SAMSUNG যার মডেল নং-DOUS, সিম নং- ০১৭৭৫…..BENCO মোবাইল সেট যার মডেল নং- E12, সিম নং-০১৩১…..তল্লাশি করে, উদ্ধারকৃত আলামত ও অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা প্রাপ্ত হয় রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোয়েন্দা শাখার অভিধানিক দল।
সূত্রটি জানায়, চক্রটি দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহ করে আসছে এমন তথ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট আসে। তারা বিভিন্ন কৌশলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছিলো। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছুদিন ধরে তাদের কার্যক্রম ও গতিবিধি মনিটরিং করে আসছিল।সর্বশেষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে তথ্য আসে যে চক্রটি উত্তরবঙ্গ হতে আগত গাঁজার বড় একটি চালান রাজশাহীর দিকে ডেলিভারী করবে। সে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর সফল হয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোয়েন্দা শাখা অভিযানিক দল। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ সনের ৩৬(১) সারণীর ক্রমিক নং ১৯(গ), ৩৮ ও ৪১ ধারায় মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক জিল্লুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দেশ টাইমসকে বলেন, আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের অন্যান্য হোতাদের সম্পর্কে গুরত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা নিয়ে আমরা অধিকতর অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। উল্লেখ্য এই চক্রের অন্যান্য হোতাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে যে কোন সময় অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, রাজশাহী কর্তৃক ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত মাদকের বিরদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর।