চাকুরী দেওয়ার নাম করে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত: উল্টো বিপাকে ফেলতে নানান মিথ্যাচার ও হয়রানির অভিযোগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাইদুজ্জামান দম্পতি।
মঙ্গলবার (০৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেণ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের গড়ই মহল গ্রামের শেখ আনছার আলীর ছেলে সাইদুজ্জামান। তিনি বলেন আমি শিক্ষিত, বেকার ও অসহায় হওয়ার সুযোগে উপজেলার বাজার গ্রাম রহিমপুর গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে বহু অপকর্মের হোতা সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার একে অপরের যোগসাজসে আমাকে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচলক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। স্ত্রীর সোনার গহনা বিক্রী ও এনজিও থেকে ঋননিয়ে বহুকষ্টে টাকাগুলো দেই। কথা ছিলো সাইফুল আমাকে ব্রাক ব্যাংকেসহ একাধিক ব্যাংকে চাকুরীতে যোগদান করিয়ে দিবে। অথচ সে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ব্যাংক কর্মকর্তার অফিসিয়াল কাগজপত্র ও স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে ভূয়া নিয়োগপত্র দেয় সে। যা চরম প্রতারণা ও জালিয়াতি কাজ। অথচ সে চাকুরী নাদিয়ে উল্টো বিপাকে ফেলতে আমার স্ত্রী ও আমাকে জড়িয়ে নানান নাটক সাজিয়ে ২/৩ বছর ধরে নানান মিথ্যাচার করে আসছে। এমনকি গত ৪ জুন-২৩ তারিখে একটি বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্য সাজায়ে আমার ও আমার পরিবারের সকলকে সমাজে হেয় করতে উদ্দেশ্য মুলক ভাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে সাইফুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার, যা আদৌ সত্য নহে। অথচ সে আমাকে চাকুরী দিবে এবং পৃথক তিন দফায় টাকা নেওয়ার অসংখ্য অডিও রেকর্ড ও প্রতারনা এবং নানান ফন্দি ফিকিরের ডকুমেন্ট আছে। সাইফুলের নানান তালবাহানার কারণে আমি বাদী সিআরপি -২১৩ (কালিঃ) এবং জিআর -১১২/ ২৩ (কালিঃ) নং মামলা দায়ের করি। সাতদিনের রিমান্ডসহ সে প্রায় ১ মাস জেল হাজতে আবদ্ধ ছিল। তার বিরুদ্ধে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে আরও একাধিক ব্যাক্তির নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করায় মামলা চলমান আছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সাইদুজ্জামান বলেন বহু অপকর্মের হোতা, প্রতারক ও আইন লঙ্ঘনকারী সাইফুল এবং তার সহযোগীকে আইনের আওতায় এনে বহুকষ্টে জোগাড় করা টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহনের আকুতি জানাই। সংবাদ সম্মেলনে সাইদুজ্জামান ও তার স্ত্রীসহ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।