সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মাহাবুবর রহমান যোগদান করার পর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। তার বিরামহীন সেবার কার্যক্রম চলছে হাসপাতালে। এমনকি প্রতিদিন রোগী দেখার ফাঁকে ফাঁকে
ভর্তি রোগীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিচ্ছেন। এ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল থেকে স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার জন্য মানুষ ছুটে আসছেন তার কাছে। তার যোনদানের পরেই সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধির এবং উপজেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সকলের সহযোগিতা কামনা করে সেবার কার্যক্রম শুরু করেন।
তিনি যোগদান করার পর থেকে ধাই ধাই করে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তিনি যোগদানের পর থেকে সেবার মান ও পরিবেশ উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালে ইউজার ডিসপ্লে বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা গ্রামের রেনু খাতুন নামের এক রোগী হাসপাতালে সেবা নিতে এসে বলেন, আমি লোকজনের কাছে শুনলাম, আমাদের হাসপাতালে বড় ডাক্তার এসেছে। ডাক্তার সাহেব আমার সমস্যার কথা শুনে ঔষধ লিখে দিয়ে বলেন, দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই। ঔষধ খান সুস্থ হয়ে যাবেন। আমি কখনও এমন ভালো ডাক্তার কলারোয়ায় দেখিনি। তার ভাল ব্যবহারে রোগী অনেক সুস্থ হয়ে যায়।
এলাকার সচেতন নাগরিক অধ্যাপক মফিজুর রহমান বলেন-ডা: মাহাবুবর রহমান হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে পরিষ্কার পরিছন্নতা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে সেবার দিকনির্দেশক চিহ্নর কার্যকর হয়েছে। ইউজার ফির ডিসপ্লে বোর্ড হয়েছে। টিএইচএ দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি ভর্তি রোগীদের খোঁজখবর নিয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে অল্প দিনেই সমগ্র উপজেলা ব্যাপি পরিচিতি লাভ করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মাহাবুবর রহমান বলেন, আমি কাজের মানুষ। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। জনগনের সেবা করা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০শয্যা বিশিষ্ট। এ হাসপাতালে অনেক ডাক্তার ও নাস কম আছে। তার পরেও আমি এসেছি উপজেলা বাসিদের সেবা দিতে। চেষ্টা করবো শতভাগ সেবা দেয়ার জন্য। সকলে আমাকে দোয়া করবেন। আমি যাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের সঠিক সেবাদান করে যেতে পারি।