সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ইউনিয়নের গোনা গ্রামের যুধিষ্টির মণ্ডলের বাড়িতে দুই দফা হামলা, মারপিট ও ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও হামলাকারিদের দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মান ববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন এর সাতক্ষীরা শাখা বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসুচি পালন করে।
বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি দীলিপ দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসুচিতে প্রধান অতিথির বক্দব্য দেন সংগঠণটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিভুতোষ রায়। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, কলেজ শিক্ষক পবিত্র মোহন দাস, দুলাল দাস, নির্যাতিত স্মৃতি রানী মণ্ডল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ১৬ এপ্রিল গোনা গ্রামে পুকুরে স্নানকে ঘিরে দুটি বাচ্চার মধ্যে হাতহাতিকে ঘিরে অনিমেষ মণ্ডলকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। প্রতিবাদ করায় নূর আলম চৌকিদার, মুনরুল চৌকিদার, আব্দুল বারী, মতিয়ার রহমান, আব্দুর রহিম, সাদ্দাম হোসেন, মাজিদা, মমতাজসহ কয়েকজন শিশু অনিমেষ মণ্ডলের মা স্মৃতি রানী মণ্ডলকে পিটিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় শ্রীপদ মণ্ডলকে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করায় অন্য আসামীরা বাদিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। কয়েকদিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয় ওই পরিবারের সদস্যদের। হত্যা করে লাশ কালিন্দি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকিসহ ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে ২৩ এপ্রিল বিকেলে আবারো বাড়িতে ঢুকে শ্রীপদ মণ্ডল, সুপদ মণ্ডল, কবিতা মণ্ডল, ভূষণ মণ্ডল, যুধিষ্টির মণ্ডলসহ আটজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। রাতে পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের গোয়ালঘর। এ ঘটনায় পুলিশ হামলাকারিদের দেওয়া মিথ্যা মামলা বিশেষ সুবিধা নিয়ে ২৫ এপ্রিল রেকর্ড করে। একপর্যায়ে বেগতিক বুঝে ২৬ এপ্রিল সুপদ মণ্ডলের দায়েরকৃত মামলা রেকর্ড করা হয়। দ্বিতীয় হামলার পর থেকে পুলিশ আজ পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি। অবিলম্বে হামলাকারিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।