১৯৭১ সালের আজকের এই বিশেষ দিনে বাগেরহাটের খুলনা, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৭০০ এর বেশি ভারত গমনকারি শরনার্থী সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েয় আশ্রয় নিয়েছিলেন। স্থানীয় রাজাকার, আলবদর ও পাকহানাদার বাহিনী খবর পেয়ে ওইসব শরনার্থীদের রাতের আঁধারে গুলি করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যায়োনেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যার পর লাশ দীনেশ কর্মকারের পুকুরে ফেলে মাটি চাপা দেয়। এ নির্মম হত্যার ৫২ বছরেও সেখানে ওইসব শহীদদের স্মরণে কোন স্মৃতিসৌধ গড়ে ওঠেনি। সরকারিভাবে সারা দেশে বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্তৃতিসৌধ নির্মাণে মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ করা হলেও এ বধ্যভূমিটি আজো সংরক্ষণ করা হয়নি। এখানকার সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি হলেও তিনি কেন জোরে সোরে উদ্যোগ নিচ্ছেন না তা বোধগম্য হচ্ছে না। এমনকি জেলা প্রশাসনের ভূমিকা যথেষ্ট নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা এর কোন সঠিক জবাব দিতে পারবো না।
শুক্রবার সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে বধ্যভূমিতে বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভায় সংগঠণটির সদস্য সচীব অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যাণার্জী, জাসদ নেতা অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, জাসদ নেতা অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, শ্রমিক ফেডারশনের নেতা মকবুল হোসেন এসব কথা বলেন।
সভায় শহীদদের স্মরনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বধ্যভূমিতে পুষ্পস্বক অর্পণ করা হয়।