গ্রাম আদালতে সম্পত্তি সংক্রান্ত, কাউকে উত্যক্ত করা, শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ, ক্ষতিপূরণ আদায়সহ নানা ধরণের বিবাদের সমাধান দিয়ে আসছে। গ্রামীণ জনপদে ন্যায় বিচার আদায় নামমাত্র খরচ ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলার সমাধান মিলছে এখানে। ফলে থানা-পুলিশ বা আদালতে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা থেকে রেহাই মিলছে প্রাম্ভিক জনগোষ্ঠীর।
এমনি ভাবে গ্রাম আদালতের মাধ্যমেই নিজের জীবনের গতিপথ ফিরিয়ে এনেছে সাতক্ষীরার তালার উপজেলার তাসলিমা বেগমের। সে উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের রাজ্জাক গাজীর স্ত্রী।
তাসলিমা বেগম একই এলাকার জনৈক জব্বার মোড়লের কাছে ৭৫ হাজার টাকা ধার দিয়েছিল। তবে এই ধার দেওয়ায় যেন তার বড় অন্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারন তার ধার দেওয়া টাকাটা অবশেষে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ফেরৎ পেতে হয়েছে।
তাসলিমা বেগম তার ধার দেওয়া টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্য তালার খলিলনগর ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে মামলা করেন। যার নং ০১/২০ পরবরর্তীতে ২২ জানুয়ারী ২০ তারিখে খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম আজিজুর রহমান রাজু এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বরদের নিয়ে গ্রাম আদালত বসিয়ে তাসলিমা বেগমের টাকা তার কাছ হস্তন্তর করেন।
টাকা ফেরৎ পেয়ে তাসলিমা বেগমের স্বামী পার্শ্ববর্তী উপজেলার কাশিমনগর বাজারে একটি চায়ের দোকান দেন। সেখান থেকেই তার জীবনের গতিপথ ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হয়। তাদের এখন স্বছল একটি পরিবার।
তাসলিমা বেগম বলেন, আমি টাকা ফেরৎ পেয়ে এখন খুবই খুশি আজ আমাদের সংসার একটা ভালো অবস্থান তৈরী হয়েছে। আমি এখন খুব ভালো ভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনতিপাত করছি।
এবিষয়ে খলিলনগর গ্রাম আদালতের সহকারী কৌকলি মন্ডল জানান, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে তার টাকাটা ফেরৎ দেওয়া হয়। তাসলিমা বেগম ছাড়াও এপর্যন্ত ১৮৫টি অসহায়, দরিদ্র, ভুক্তভোগী পরিবার গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সহযোগীতা পেয়েছে।