সাতক্ষীরার তালায় সম্প্রতি সর্বহারা পার্টি পরিচয়ে অন্তত ১০ জনের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না দিলে দেয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। এ ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিকার চেয়ে হুমকির শিকার এমন তিনজন ইতিমধ্যে তালা থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন।
তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া গ্রামের মাজেদ আলী গাজীর ছেলে কৃষ্ণকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আছাদুল হক জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার দিকে তাকে ফোন দিয়ে নিজের নাম অবসরপ্রাপ্ত মেজর জিয়া ও তিনি সর্বহারা পার্টির চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা পাঠাতে দেয়া হয় বিকাশ নাম্বার। এসময় দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, কত দিতে পারবেন এটা জানতে চান ওই ব্যক্তি। আবারও অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে গালিগালাজ ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিষয়টি তিনি তার প্রধান শিক্ষককে অবহিত করে তার পরামর্শে তালা থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন।
একই উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ধুলান্ডা গ্রামের মৃত শৈলেন্দ্র নাথ দাশের ছেলে ও তালা সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক সন্তোষ কুমার দাশ জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার সময় একই পরিচয় দিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় তার কাছে। দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিকাশে দ্রুত ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয় এবং না পাঠাল জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি ওই দিনেই তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। তাদের মতো এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে আরও অন্তত আটজন।
এ বিষয়ে তালা থানার উপ-পরিদর্শক প্রীতিশ রায় জানান, এ পর্যন্ত আমাদের কাছে সর্বহারা পার্টির পরিচয় চাঁদা দাবির তিনটি অভিযোগ এসেছে। সিডিআরের মাধ্যমে সর্বহারা পার্টির প্রধান পরিচয়দানকারীর অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেফতারে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, এলাকায় সর্বহারা পার্টির কোনো অস্তিত্ব নাই। কোনো প্রতারক চক্র এটা করছে। সর্বহারা পার্টির নামে চাঁদা দাবি ও হুমকি-ধমকির অভিযোগে তিনজন জিডি করেছেন। মোবাইল নাম্বার ট্র্যাক করে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।