সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের চাম্পাফুল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে পৈত্রিক সম্পত্তি ভিপি ইজারা নিয়ে অবৈধভাবে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন আশাশুনির শ্রীউলা গ্রামের মো: আব্দুল হক সরদারের ছেলে মো: আবু সাঈদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ইউসুফপুর মৌজায় ২০১২ সালে ভিপি জমির চুড়ান্ত গেজেটে প্রকাশিত হয় এবং ২০১৩ সালে আর এস খতিয়ান চুড়ান্ত প্রকাশিত হয়। আর এস খতিয়ান নং ২১১, ২০৩, ২১০, ১১৩, ১৩, ৪৩, ৩৭, ৪১ আরো অন্যান্য খতিয়ান ১২,৯২ ও ১৫.২৫ একর আমাদের পৈত্রিক স্বত্বদখলীয় রেকর্ডীয় মালিকানা সম্পত্তি। উক্ত জমি ভিপি গেজেট বর্হিভূত। ১৪২৮ সাল পর্যন্ত রাজস্ব পরিশোধিত চেক দাখিলা প্রাপ্য জমি। বর্তমান ম্যাপেও চিহ্নিত প্লট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা সুদিন বাবু ও ২০১৪ সালে ভূমি কর্মকর্তা ইয়াছিন আলী মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সরজমিনে তদন্ত না করে এবং ভিপি তালিকা যাচাই বাছাই না করে অবৈধভাবে চিহ্নিত ভূমিদস্যু সস্ত্রাসী ইউসুফপুর গ্রামের খোদাবক্স গাজীর পুত্র রুহুল কুদ্দুসগংয়ের নামে ইজারা দিয়েছেন। আমাদের মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে হয়রানী করে বড় অংকের আর্থিক ক্ষতি সাধন করে যার ভিপি কেস নং ৭১৬,৭১৭,৭১৮,৭২১/৮৫-৮৬ তারিখ ০৪/০৪/২০১৩।
তিনি আরো বলেন ভূমিকর্মকর্তা সুদিন বাবু এসব অবৈধ টাকায় ভারতে বিশালবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। নামে বে নামে অঢল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তিনি অত্র ইউনিয়নের ভূমি অফিসের দায়িত্ব থাকাকালীন সময় অত্র এলাকার অধিকাংশ অসহায় মানুষের জমিতে নানা ত্রুটিপূর্ণ করে রেখে গেছেন। ফলে আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ওই রুহুল কুদ্দুস গংয়ের কবল থেকে আমরা অসহায় পরিবারগুলো যাতে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং ভূমিকর্মকর্তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।