সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ধর্ষন চেষ্টার মামলার আসামী কর্তৃক বাদীকে হুমকি ধামকি দেয়ার প্রতিবাদে ও জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ছছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, উপজেলার কুমারখালী গ্রামের মৃত গণেশ তরফদারের পুত্র ভুক্তভোগী মামলার বাদী মিলন তরফদার।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ২৯/০৪/২০২১ তারিখে আমার ৮ বছরের শিশু কন্যাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে একই গ্রামের অমিতাব মল্লিক ও হিরালাল মন্ডল। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ওই দিনেই কালিগঞ্জ থানায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইন একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ কর। এরপর জামিন মুক্তি পাওয়ার পর এলাকায় এসে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি ধামকি প্রদান অব্যহত রাখে চলেছে। একপর্যায়ে বিগত ইং ১৬/০৫/২০২১ তারিখে রাতে কোনা বিষয় ছাড়া এলাকার একটি মহল মিটিং এর নাম করে আমাকে কুমারখালী কালিমন্দিরে ডেকে আলোচনার শুরুতেই ধর্ষণ চেষ্টার মামলা তুলে নিতে আমার উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আমার পক্ষ একই গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর ছেলে আনন্দ মিস্ত্রী প্রতিবাদ করতেই আনন্দ মিস্ত্রীকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎ পেতে থাকে সস্ত্রাসী শান্তি রঞ্জন মিস্ত্রী ও তার লাঠিয়াল বাহিনী। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আনন্দ মিস্ত্রীসহ আমি গুরুতর আহত হয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হই। এ ঘটনায় আমি কালিগঞ্জ থানা ইনচার্জ বরাবব লিখিত অভিযোগ করলে আমার সাক্ষীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি, মিথ্যা মামলা দিয়ে সায়স্তো করার হুমকি প্রদান অব্যবহত রাখে। সাক্ষীসহ আমি নিরাপত্তার জন্য কালিগঞ্জ থানায় বিগত ইং২২/০৫/২০২১ তারিখে একটি সাধারণ ডায়রি করি। সাধারন ডায়রির বিষয়ে জানতে পেরে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এরপর আমি জীবনের নিরাপত্তার জন্য আদালতে একটি মামলা দায়েরকরি। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি প্রদান কোনা
কাজ না হলে চলতি বছরের গত ১৮/১০/২০২২ তারিখে নিজের শরীরে ফোলা জখম করে সাতক্ষীরা সদরহাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমাদের সায়েস্তা করতে আমার মামলার সাক্ষী আনন্দ মিস্ত্রী, বিশ্বজিৎ মিস্ত্রী, রামপদ তরফদার ও আমিসহ ৫ জনকে আসামী করে কালিগঞ্জ থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করে। যে ঘটনা সম্পর্কে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। শুধুমাত্র বাদী পক্ষকে শায়েস্তা করতে আমাদের নাম ব্যবহার করে মামলাটির তথ্য প্রদান করেছে মামলার বাদী। পরবর্তীতে এ মামলায় আমরা জামিন নিয়ে বাড়ি আসতেই শান্তিরঞ্জনর ভাই জয়ন্ত মিস্ত্রী বাংলাদশ পুলিশের একজন সদস্য হওয়ার সুবাদে আমিসহ আমার পরিবার ও সাক্ষীদের মারধর, জীবন নাশের হুমকি ও এলাকা ছাড়া করবে মর্মে হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে। সংবাদ সম্মলন থেকে তিনি এ সময় উক্ত সস্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ, সহকারী পুলিশসুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল), জেলা পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষর হস্তক্ষপ কামনা করেছেন।