ঝরেপড়া ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: আবুল হোসেন নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি এ উদ্যোগ নেন।
সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আবুল হোসেন বলেন, করোনাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিশাল একটি গ্যাপ তৈরি হয়েছে। এই গ্যাপ পূরণের লক্ষ্যে তিনি প্রতিদিন কোন না কোন স্কুলে যাচ্ছেন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তিনি ৮ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে নিজেই প্রশ্ন তৈরি করে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা নিচ্ছেন। এতে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: আবুল হোসেন। গত আগস্ট মাস থেকে তিনি এ কার্য়ক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) তিনি সদর উপজেলার ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এভাবে মূল্যায়ন শেষে পুরস্কৃত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: এমাদুল ইসলাম, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতা মিম সাঈফুল্লাহ, সহকারী প্রধান শিক্ষক অনুজিত কুমার মন্ডল, সহকারী শিক্ষক শামীমা আক্তার, মো: হাফিজুল ইসলাম, কনক চন্দ্র ঘোষ, মো: আজহারুল ইসলামসহ অন্যান্যরা। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলো-ফারিহা আফরিন,ফারজানা ইয়াসমীন সুইটি, মাহিরা আফরিন, তৃষা মন্ডল, ফারজানা ফায়িজা ও তানজিলা খাতুন।
সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো; আবুল হোসেন বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সকল মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় পর্যায়ক্রমে এভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। এরফলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় আগ্রহী হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে এ উদ্যোগের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে শিক্ষক-অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটিকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।