সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের শানতলায় গ্রামে গত শনিবার সাহেব আলীর ছেলে মামুন গাজী ও সারসা গ্রামের মোশারফ হোসেনের (চা বিক্রেতা) মেয়ে দশম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।
এবিষয়ে এলাকাবাসী সুত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে জানা যায়, ঐ শিক্ষার্থী দু’জনের মধ্যে বেশ কয়েক বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা ইতিপূর্বে কয়েকবার অজানার উদ্দেশ্যে পাড়িও জমিয়েছে। একই ভাবে গত শনিবার ফের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের অভিযানে তাদের দু’জনকে আটক করে।
থানা পুুলিশ কর্তৃক আটক ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিষয় সম্পর্কে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের সহায়তায় মেয়ে ও ছেলে কে উদ্ধার করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রুহুল কুদ্দুসের নিকট প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘মেয়ের পিতা ও মাতার কাছে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তারা বার বারই তাদের মেয়েকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। তাদের মেয়ে নাবালক হওয়ায় তার মেয়ের প্রেম ও বিয়ের সম্পর্ক আইননানুগভাবে বৈধ না হওয়ায় তার মা বাব ছাড়া আমরা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। অথচ মেয়েটির পিতা মাতাকে বার বার ডাকলেও তারা কর্ণপাত না করে বাড়িতে বসে থাকে। একপর্যায়ে মেয়েটাকে অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় সেফহোমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিলেও তাতে মেয়েটির পিতা-মাতা রাজি হননি। এমনকি মামলার কথা বললেও তারা তখন মামলা দায়ের করতে রাজি হননি। ফলে শেষ মুহূর্তে ছেলে ও মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় উভয়ের নিকট থেকে মুচলেকা নিয়ে মেয়েকে তার পিতা মাতার কাছে এবং ছেলেটিকে তার পিতার কাছে তুলে দেওয়া হয়।’
এবিষয়ে পাটকেলঘাটা থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে শুনেছি। আমাদের কাছে তারা মামলা করলে আমরা মামলা না নেওয়ার কোন যুক্তি নেই। আমরা মামলা নিচ্ছি না বলে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে, কথাটা আদেও সত্য নয়। ভিকটিম যদি মামলা করে তাহলে আমরা অবশ্রই মামলা নেব। তারা চাইলে যেকোনো এসে মামলা করতে পারবে তাদের মামলা করতে পারেন।’
তবে মেয়েকে ধর্ষণ ও মামলা না নেওয়ার বিষয়ে মেয়ের বাবা মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে গেলে তারা বাড়ি থেকে অনত্র চলে যায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তারা সামনে না আসায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগযোগ করলে ফোন কেটে দেন। এ সময় কোন কথা বলতে রাজি হননি তিনি।