নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ও জেলখানা হত্যার নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে ‘কমিশন গঠনে’ সমস্ত দেশবাসী উন্মুখ। নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হবেনা- সেটি আইন করে বন্ধ করেছেন জিয়াউর রহমান। খুনিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি এ্যাক্ট বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামাত জোট সে বিচারের কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেনি বরং তারা আমাদের ওপর গ্রেনেড ও বোমা হামলা করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার (২৬ আগস্ট) টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান সহ দফতর ও সংস্থা প্রধানদের সাথে নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি নীরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মোনাজাত করেন।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান. মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এস এম মনিরুজ্জামান, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মো. জাহাঙ্গীর কবির, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো বাবুল শেখ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তিনি দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও দেশ এবং জাতির অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।