খৃস্টান ধর্মালম্বী লিটন সরকার কর্তৃক সনাতন (হিন্দু) ধর্মের অবিবাহিত ঋতুপর্ণাকে বিয়ে করতে না পেরে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ ও অপপ্রচার এবং ভূয়া সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়নে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের কারণে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মানসম্মান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বড়ঙ্গা গ্রামের ভদ্র দাসের ছেলে উজ্জল কুমার দাস এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উজ্জল কুমার দাস বলেন, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার হরিশ্চদ্রকাটি গ্রামের লক্ষ্মণ দাসের ছেলে লিটন সরকার (খৃস্টান ধর্মালম্বী) আত্নীয়তার সূত্রে আমাদের গ্রামে (বড়ঙ্গা) যাতায়াত করতে এবং আমার বোনের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আমার বোন রাজি না হওয়ায় তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। ঘটনাটি লিটন সরকারের অভিভাবকদের (আত্মীয়স্বজন ও পিতা-মাতা) জানালেও তারাও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে সে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে সমাজে আমাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে নানাভাবে ষড়যন্র করতে থাকে। বিষয়টি লিটন সরকারের পিতা লক্ষণ দাসকে একাধিকবার জানালে তিনি উল্টো আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দেন এবং চাঁদা দাবি করেন। বিভিন্ন লোক দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে, লিটন দাস আমার বোন ঋতুপর্ণাকে স্থানীয় হাজি মোতালেব মহিলা কলেজের আসার পথে একাধিকবার উত্ত্যক্ত করতো। গত ৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে আমার বোন ঋতুপর্ণাকে খুঁজে না পেয়ে আমার বাবা ভদ্র দাস গত ৬ আগস্ট ২০২০ তারিখ নিজ বাদি হয়ে আমার বোনকে খুঁজে পেতে কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। যার নং-১৮৮।
অপরদিকে, লিটন সরকার আমার বোন ঋতুপর্ণাকে ফুসলিয়ছ গত ০৫/০৮/২০২০ তারিখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি বিবাহ রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং তাকে জোর করে শাখা, সিদুর পরিয়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার পুটিখালী দাসপাড়ায় সুকুমার দাসের ছেলে গোপাল দাসের স্ত্রী লতিকা দাসের (লিটনের বোন) জিম্মায় ঘরের একটি গোপন কক্ষে আটকিয়ে রাখে। আমরা আমাদের আতীয়স্বজনের বাড়ি ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করলে আমাদের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পাই যে বোন ঋতুপর্নাকে আমাদেরই গ্রামের এক বাড়িতে আটকানো আছে। আমার পরিবারের লঝকজন কেশবপুর থানার ডিউটি অফিসারকে অবহিত করলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বোনকে অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করে কেশবপুর থানায় এনে লোকলজ্জা এবং পারিবারিক সম্মানে ও বোনের ভবিষ্যত চিন্তা করে জিডি প্রত্যাহার করি (নং-২৯০।
তিনি লিখিত সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, খৃস্টান ধর্মালম্বী লিটন সরকার সনাতন (হিন্দু) ধর্মের ঋতুপর্ণাকে বিয়ে করে যখন তার বোনের বাড়িতে আটকিয়ে রাখেন সে সময় ঋতুপর্নার বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া দুই ভরি ওজনের (কানের দুল, গলার চেইন, নাকফুল, সোনার চুরি) ২২ (ক্যারেট) সোনা ও নগদ টাকা আত্মসাত করেছে এবং ঋতুপর্নাকে শারীরিভাবে নির্যাতন করেছে। এ ঘটনায় তারা যশোর আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।