কখনো সমাজ সেবা অফিসার আবার কখনো উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করার সময় ২ প্রতারককে আটক করেছে জনগন। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার মাঘুরালী গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো যশোর জেলার কেশবপুরের বরণডালী গ্রামের নুর উদ্দীনের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৫)। সে বর্তমানে সাতক্ষীরা সদরের লাবসা গ্রামে তার ভগ্নিপতি নাসিরের বাড়িতে থাকে। অপরজন শহরের রসুলপুরের নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৬)।
ভুক্তভোগি মাঘুরালী গ্রামের আসাদুলর স্ত্রী মাছুমা খাতুন জানান, রবিবার সকালে বেল্লাল ও আশরাফুল তাদের বাড়িতে যেয়ে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা পরিচয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত রেজিঃনং-২০৮৬৫১, বিদেশী সংস্থা সৌদিআরব সিসিডিবি বরাদ্দকৃত মোটা অংকের অনুদান দেওয়ার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফরম পুরন করে তিন হাজার টাকা নেন। এছাড়াও একইভাবে নলতার আমজিয়ারের স্ত্রী আলেয়ার কাছ থেকে চার হাজার টাকা নেন। ফিরোজা বেগমের কাছ থেকে নেন পাঁচ হাজার টাকা। এভাবে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারনা করে নলতা ইউনিয়নের বিভিন্ন পরিবার থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আদায় করে ওই প্রতারক চক্র।
রবিবার দুপুরে মাঘুরালী গ্রামে ইউপি দফাদার নুরহোসেন বাবুর বাড়িতে যেয়ে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফরম পুরন করার সময় তাদেরকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদ আনা হয়। আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিষদ ভুক্তভোগি পরিবারগুলো এসে অভিযোগ করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড় জিঙ্গাসাবাদ করলে আটক বিল্লাল ও আশরাফুল দীর্ঘদিন যাবত জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন প্রতারনার কথা স্বীকার করে টাকা ফেরৎ দেওয়ার শর্ত এবারের মত ক্ষমা চায়। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার টাকা ফেরৎ নিয়ে চেয়ারম্যান ভুক্তভোগিদের হাতে তুলে দেন। বেল্লাল একজন শারীরিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় ও তাকে বহনকারি আশরাফুলকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শ মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।