মোবাইল কেনার টাকা চাওয়ায় শ্বাসরোধ করে ছেলেকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলার দু’ মাস ২০ দিন পর জনতা নিহতের বাবা ও বিমাতাকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেছে।
শুক্রবার রাত তাদেরকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকালে পুলিশ নিহতের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নিহতের নাম আরিফ বিল্লাহ (১৭)। সে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল গ্রামের ইমান আলী মোড়লের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল গ্রামের ইমান আলী মোড়ল (৫৫) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জোহরা বেগম (৪২)।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আজিজুর রহমান জানান, চম্পাফুল গ্রামের ইমান আলী মোড়ল পাঁচ বছর আগে ছেলে আরিফ বিল্লাহকে কাছে রেখে তার প্রথমে স্ত্রী খালেদাকে তালাক দেন। পরে খালেদা অন্যত্র বিয়ে করে।
মোবাইল কেনার টাকা চাওয়ায় গত ২৫ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ও দ্বিতীয় স্ত্রী জোহরা মিলে ছেলে আরিফ বিল্লাহকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিখোঁজ হয়ে গেছে মর্মে প্রচার দেয় ইমান আলী মোড়ল। পরে আরিফের লাশ নিজেদের জমিতে মাটি দেয় তারা। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রচার করতে গত পহেলা সেপ্টেম্বর ছেলে পাগল হয় নিখঁাজ হয় গছ মর্ম ইমান আলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে। তবে শুক্রবার বিকাল স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে আরিফকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিজের জমিতে পুঁতে রেখেছে মর্মে ইমান আলী এক ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করে। একথা কয়েকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় রাতে স্থানীয়রা ইমান আলী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জোহরাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ইমান আলী ও জোহরা ছেলে আরিফ হত্যার কথা স্বীকার করে লাশ কোথায় পুঁতে রাখা হয়েছে মর্মে পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে আরিফের মা খালেদা বেগম রাতেই ইমান আলী ও জোহরার নাম উল্লেখ করে শুক্রবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ইমান আলী ও জোহরার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি শনিবার বিকালে নিহত আরিফ বিল্লার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ইমান আলী ও জোহরা জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম রেজায়ানুজ্জামানের কাছে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।