উৎসব মুখর পরিবেশে উদ্বোধন করা হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকি ফরিঘাট। রবিবার সকাল ১১ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে এ ফেরিঘাটের উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার।
সড়ক জনপদ বিভাগ সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আতাউল হক দোলন, সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক তানজিল্লুর রহমান, সড়ক ও জনপদ খুলনার ফেরি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আজম শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আখতার হোসেন প্রমুখ।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দীন জানান, পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় এ ফেরিঘাটের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। এরমধ্যে মূল ফেরি ঘাট আড়াই কোটি টাকা ব্যয় হয়েছছ এবং পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পার রাস্তার কাজের জন্য আড়াই কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এক সময় অসুস্থ মানুষ নৌকায় এই নদী পার হতে গিয়ে এখানে মারা গেছেন। অনেক গভবর্তী মায়েরা নৌকায় সন্তান প্রসব করেছেন। পদ্মপুকুর ও গাবুরা ইউনিয়নের মানুষর যাতায়াতের ভোগান্তি দুর করতে এ ফেরির ব্যবস্থা করেছে সরকার।
বক্তারা আরো বলেন, উন্নয়নের সরকার আওয়ামীলীগ সরকার। সম্প্রতি পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করে জননত্রী শেখ হাসিনা সেটি প্রমান করেছেন। আজ শ্যামনগর উপজেলা থেকে বিছিন্ন থাকা দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ও পদ্মপুকুরর মানুষের যাতায়াতের জন্য এই ফেরি উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে ফেরি উদ্বোধন হওয়ায় পদ্মপুকুর, গাবুরা, আশাশুনির প্রতাপনগর সহ খুলনা জেলার কয়রাসহ খুলনা জেলার মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন হবে। ফলে পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের অর্থনীতি এবং মানুষের জীবন যাত্রার মান। মানুষের সময় ও অর্থ দুটাই বাঁচবে। থাকব নিরাপত্তা। বক্তারা এই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে ফেরির সুষ্ঠু ব্যবহার করতে জনসাধারনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান শেষে সর্বপ্রথম টোল দিয়ে গাড়ী পার করে পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ অতিথিবৃন্দ।